• , |
  • ঢাকা, বাংলাদেশ ।
সর্বশেষ নিউজ
* ডেঙ্গুতে আরও ৭ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১১৩৯ * সরকার কি চাইলে এখন রাষ্ট্রপতিকে সরিয়ে দিতে পারে? * রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে বঙ্গভবনের সামনের রাস্তা অবরোধ * পদত্যাগ করতে রাষ্ট্রপতিকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম * ১০১ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় দিন শেষ করল বাংলাদেশ * জামায়াত আমিরের সাথে জাতিসঙ্ঘের আবাসিক সমন্বয়কের সাক্ষাৎ * পুলিশের ২৫২ এসআইকে অব্যাহতিতে রাজনৈতিক কারণ নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা * মাহফুজ আনামের কাছে প্রশ্ন: হাসিনা-মুজিবের দুঃশাসনের পার্থক্য কোথায়? * ইরানকে গোপন তথ্য দেয়ায় ৭ ইসরাইলি আটক * নিরাপত্তার স্বার্থে এখনই শীর্ষ নেতার নাম ঘোষণা করছে না হামাস

হিজরী নববর্ষ ও আমাদের সমাজ

news-details

ছবি: সংগৃহীত


৮ জুলাই হিজরী নববর্ষ নিরবে নিভৃতে চলে গেল। সারাবিশ্বের ১৫০ কোটি মানুষ হিজরি নববর্ষের তাৎপর্য ও গুরুত্বের ব্যাপারে অবগত থাকলেও এ দিনের করণীয় বিষয়গুলো নিয়ে কোন শব্দ উচ্চারণ বা পরিপালনের ব্যাপারে কোন কথাও বলেনি। এ দিনটির সাথে মহানবী (সা.) এর অনেক অবিস্মরণীয় স্মৃতি বিজড়িত রয়েছে। বর্তমান প্রজন্মের অধিকাংশ শিক্ষিত সচেতন মুসলমান কোন ধারণাই রাখে না। অথচ বৈশাখী নববর্ষ এলে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা হয়। বেখেয়ালী বাঙালি নিজের পরিচয়ও জানে না। এদেশের মানুষ কত হতভাগ্য যে নিজেদের পরিচয় সম্পর্কেও কিছুই জানে না! 

প্রাচীনকাল থেকে বিভিন্ন সম্প্রদায়, বিভিন্ন জাতি, বিভিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন গণনা শুরু করত। যেমন, হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর সম্প্রদায়ের লোকেরা হজরত ইবরাহিমকে (আ.) আগুনে নিক্ষেপ করার দিন থেকে সন গণনা শুরু করে। পরবর্তী সময়ে বায়তুল্লাহ নির্মাণের পর তা বিলুপ্ত হয়ে নতুন করে আবার সন গণনা শুরু হয়। একসময় এসে এই সন গণনা বিলুপ্ত হয়ে যায়। ইসলামের আগমনের আগে সর্বশেষ আবরাহার হস্তিবাহিনী পবিত্র কাবা ধ্বংস করতে এসে আবাবিল পাখির পাথরবৃষ্টির মাধ্যমে নিজেরাই ধ্বংস হয়ে যায়। তৎকালীন আরবে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন গণনা শুরু হয়। কিন্তু বর্তমানে আমরা যে সন গণনা করি, তার সূচনা হয় একটু ভিন্নভাবে। দ্বিতীয় খলিফা ওমর (রা.)-এর সময়কালে বসরার গভর্নর আবু মুসা আশআরি (রা.) খলিফার কাছে এক পত্রে লেখেন,  ‘হে আমিরুল মুমিনিন, আমাদের কাছে বহু পত্র আসে, যাতে তারিখ লেখা থাকে শাবান। কিন্তু তা কি বর্তমান বছরের, নাকি অতীতের—আমরা বুঝতে পারি না। তারপর ওমর (রা.) সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। (ইবনুল আসির, আল-কামিল ফিত-তারিখ: ১/৮)

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, যখন ওমর (রা.) সন প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন, তখন তিনি পরামর্শ সভার আহ্বান করেন। সভায় সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রা.) নবীজি (স.)-এর ইন্তেকালের বছর, তালহা (রা.) নবুয়াতের বছর, আলী (রা.) হিজরতের বছর থেকে বর্ষ গণনার প্রস্তাব দেন। এরপর উপস্থিত সবাই আলীর (রা.) প্রস্তাবে ঐকমত্য পোষণ করেন। (আল-আইনি, উমদাতুল কারি: ১৭/৬৬)

সন গণনা শুরুর জন্য নবীজি (সা.)-এর জন্ম, মৃত্যু, নবুয়ত ও হিজরত—চারটি প্রস্তাব এসেছিল। বস্তুত জন্ম ও নবুয়াতের সন নিয়ে বিভিন্ন মতামত আছে। তাই অগত্যা হিজরতের মাধ্যমেই সাল গণনা শুরু করা হয়। (ইবনে হাজার আসকালানি, ফাতহুল বারি: ৭/২৬৮)।

এখানে একটা প্রশ্ন থেকে যায়। সেটা হলো, নবী কারিম (স.) হিজরত করেন রবিউল আউয়াল মাসে। তাহলে বছরের প্রথম মাস মহররম হলো কীভাবে? এর উত্তরে কেউ কেউ বলেন, যখন মক্কায় মুশরিকরা মুসলমানদের ওপর নির্যাতন সীমাতিরিক্ত করতে লাগল, তখন আল্লাহ ও নবীর আদেশে সর্বপ্রথম যে দলটি আবিসিনিয়ায় হিজরত করেন- তখন ছিল মহররম মাস। এজন্য হিজরি সনের প্রথম মাস মহররম। তবে গ্রহণযোগ্য মতানুযায়ী, নবীজি (স.)-এর হিজরত ২৭ সফর থেকে শুরু করে ১২ রবিউল আউয়াল অবধি সম্পন্ন হয়েছিল। বর্ষ গণনার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় হিজরতের ১৬ বছর পর ১৭তম বছরের ১০ জুমাদাল উলা মাসে। মাস হিসেবে রবিউল আউয়াল কিংবা জুমাদাল উলা কোনোটি থেকে বর্ষ গণনা শুরু হয়নি। সমকালীন আরবে মহররম ছিল প্রথম মাস। পরিস্থিতি বিবেচনায় শৃঙ্খলা রক্ষার্থে তা অপরিবর্তিত রাখা হয়। (আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়া, ৪/৫১৭)

আরেকটি বিষয়, হিজরি সনের সম্পর্ক চাঁদের সঙ্গে। বিশ্বের প্রায় ১৫০ কোটি মুসলমান এই সন ব্যবহার করে থাকেন। বছরে বারো মাস যেভাবে আল্লাহ নির্ধারণ করেছিলেন, তেমনি মাসের দিনক্ষণও আল্লাহ নির্ধারণ করেন। মাস ঊনত্রিশ দিনের হবে নাকি ত্রিশ দিনের হবে, তা মহান আল্লাহ নির্ধারণ করে দেন। এই ফায়সালা হয় প্রতিমাসে নতুন চাঁদ উদিত হওয়ার মাধ্যমে। আল্লাহর ফয়সালার বিরুদ্ধে যাওয়ার সাহস কারো নেই। তাইতো মাসের ঊনত্রিশতম দিনে আমাদের চেয়ে থাকতে হয় চাঁদেরদিকে। কবে উদিত হচ্ছে নতুন মাসের চাঁদ। যদি উদিত না হয়, তাহলে এই মাস হবে ত্রিশ দিনে। আর উদিত হলে হবে ঊনত্রিশ দিনে। কিন্তু ইংরেজি মাস কিংবা বাংলা মাসের তারিখ মানুষের নিজেদের তৈরি পদ্ধতিতে হয়। হিজরি সনের মাসগুলো হলো- মহররম, সফর, রবিউল আউয়াল, রবিউস সানি, জমাদিউল আউয়াল, জমাদিউস সানি, রজব, শাবান, রমজান, শাওয়াল, জিলকদ ও জিলহজ। ৬৩৯ খ্রিস্টাব্দে হিজরি সন প্রবর্তিত হলে তার এক বছরের মধ্যে তা আমাদের এই বাংলাদেশে চলে আসে আরব বণিকদের হাত ধরে। হিজরি সন প্রবর্তনের বছর বা তার 

পরের বছর এখানে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসলাম প্রচার শুরু হয় এবং হিজরি সনও স্বাভাবিকভাবে আমাদের দেশে প্রচলিত হয়। এই হিজরি সন আমাদের দেশে রাষ্ট্রীয় সন হিসেবেও প্রচলিত হয়েছিল, যা ৫৫৬ বছর স্থায়ী হয়েছিল। এখনও আমাদের দৈনন্দিন জীবনে হিজরি সনের প্রভাবই বেশি। ইসলামের বিভিন্ন বিধিবিধান হিজরি সন, আরবি তারিখ ও চন্দ্রমাসের সঙ্গে সম্পর্কিত। ধর্মীয় আচার–অনুষ্ঠান, আনন্দ-উৎসবসহ সব ক্ষেত্রেই মুসলিম উম্মাহ হিজরি সনের ওপর নির্ভরশীল।বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর কৃষ্টি-সংস্কৃতি ও মুসলিম জীবনে হিজরি সনের গুরুত্ব অপরিসীম।

হিজরি নববর্ষের শিক্ষা হলো ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও মানবতার জন্য ত্যাগ স্বীকার। এই দিনে ব্যক্তি পুরনো বছরের আত্মপর্যালোচনা এবং নতুন বছরের কর্মপরিকল্পনা  সাজিয়ে নব উদ্যমে কর্মতৎপর হতে পারে। নববর্ষের শুরুতে শুভেচ্ছা বিনিময় করে পরস্পরের কল্যাণ কামনা করতে পারে। ইসলামে অশুভ ও কুলক্ষণের চর্চা না থাকলেও শুভ ও কল্যাণের ধারণা আছে। আনাস (রা.) বলেন, নবী (স.) বলেছেন, ইসলামে সংক্রামক ব্যাধি আর কুলক্ষণ বলতে কিছু নেই। শুধু আরবদের নয়, হিজরী মুসলমানদের সন, ইসলামী সন হিজরী সনের প্রথম মাস মুহাররম। শুরু হয়েছে কয়েকদিন আগে। এই হিজরী সনের সূচনা, প্রেক্ষাপট, মুসলিম-জীবনে এর প্রভাব, হিজরী ক্যালেন্ডার ও একদিনে বিশ্বব্যাপী ঈদ-রোযা করা বিষয়ে মাসিক আলকাউসারের সম্পাদক, মারকাযুদ দাওয়াহ আলইসলামিয়া ঢাকার মুদীর মুফতী আবুল হাসান মুহাম্মাদ আবদুল্লাহ একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। সাক্ষাৎকারের একটি চুম্বক অংশ দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়েছিল। সাক্ষাৎকারের পূর্ণরূপ এখানে মুদ্রিত হল। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন-শরীফ মুহাম্মদ। হজরত ওমর রা. তার খিলাফতকালে হিজরতের ১৭তম বর্ষে হিজরী সন গণনা শুরু করেন। এর প্রেক্ষাপট ছিল এরকম, হজরত ওমর রা.-এর কাছে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় চিঠি আসত। সেখানে মাসের নাম ও তারিখ লেখা হতো। কিন্তু সনের নাম থাকত না। এতে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হতো। তখন পরামর্শের ভিত্তিতে একটি সন নির্ধারণ ও গণনার সিদ্ধান্ত হয়। বিভিন্ন উপলক্ষ থেকে সন গণনার মতামত আসলেও শেষ পর্যন্ত হিজরতের ঘটনা থেকে সন গণনার সিদ্ধান্ত হয়।

সন গণনার আলোচনার সময় প্রস্তাব উঠেছিল,ঈসায়ী সনের সূচনার সঙ্গে মিল রেখে নবীজীর জন্মের সন থেকে ইসলামী সনের শুরু হওয়া। এ রকম আরও কিছু কিছু উপলক্ষের কথাও আলোচিত হয়। কিন্তু হিজরতের সন থেকে সন গণনা চূড়ান্ত হওয়ার পেছনে তাৎপর্য হল,হিজরতকে মূল্যায়ন করা হয় আল ফারিকু বাইনাল হাক্কি ওয়াল বাতিল’ অর্থাৎ সত্য-মিথ্যার মাঝে সুস্পষ্ট পার্থক্যকারী বিষয় হিসেবে। হিজরতের পর থেকেই মুসলমানরা প্রকাশ্য ইবাদত ও সমাজ-গঠনের রূপরেখা বাস্তবায়ন করতে পেরেছিলেন। প্রকাশ্যে আযান,নামায,জুমা,ঈদ সবকিছু হিজরতের পর থেকেই শুরু হয়েছে। এসব তাৎপর্যের দিকে লক্ষ্য করেই মুসলমানদের সন গণনা হিজরত থেকেই শুরু হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। হিজরী সনের মাসগুলো তো আগে থেকেই ছিল। সে হিসেবে এ সনটিকে কেবল আরবী সন হিসেবে সাব্যস্ত করা যায় কি না? মাসগুলো আরবী মাস হলেও সনটিকে গোটা মুসলিম উম্মাহর সন হিসেবেই গ্রহণ করতে হবে। মাসগুলো আসলে চন্দ্র বর্ষের মাস। 

এই চন্দ্রবর্ষের ও চন্দ্রমাসের প্রভাব মুসলমানদের জীবনে ব্যাপক। জীবনের সব ক্ষেত্রেই এর প্রভাব ও গুরুত্ব রয়েছে। বিশেষত ইবাদতের তারিখ,ক্ষণ ও মৌসুম নির্ধারণের ক্ষেত্রে হিজরী সনের প্রভাব ও গুরুত্ব অপরিসীম। একারণে হিজরী সনের হিসাব স্মরণ রাখা মুসলমানদের জন্য জরুরি। অনেক ক্ষেত্রেই এর প্রভাব রয়েছে। যেমন রমযানের রোযা,দুই ঈদ,হজ্ব,যাকাত ইত্যাদি ক্ষেত্রগুলোতে চন্দ্রবর্ষ বা হিজরী সন ধরেই আমল করতে হয়। রোযা রাখতে হয় চাঁদ দেখে, ঈদ করতে হয় চাঁদ দেখে। এভাবে অন্যান্য আমলও। এমনকি স্বামীর মৃত্যুর পর মহিলাদের ইদ্দতের ক্ষেত্রগুলোতেও চন্দ্রবর্ষের হিসাব গণনা করতে হয়। অর্থাৎ মুসলমানদের ধর্মীয় কতগুলো দিন-তারিখের হিসাব-নিকাশের ক্ষেত্র রয়েছে,সেগুলোতে চাঁদের হিসাবে দিন,তারিখ,মাস ও বছর হিসাব করা আবশ্যকীয়। চন্দ্রবর্ষের হিসাব মেলালে দেখা যায়,একটি ইবাদতের মৌসুম কয়েক বছরের ব্যবধানে শীত-গরম-বর্ষায় পরিবর্তিত হতে থাকে। সৌরবর্ষের হিসাবে এটা হয় না। 

আসলে ইসলাম হচ্ছে দ্বীনুল ফিতরাহ বা স্বভাব-অনুকূল ধর্ম। ইসলামের বিধিবিধান এমনভাবে দেয়া হয়েছে যে, শিক্ষিত-অশিক্ষিত,শহুরে-গ্রাম্য, সমতলবাসী বা পাহাড়ি,তথ্য ও প্রযুক্তির সুবিধাপ্রাপ্ত ও বঞ্চিত-সবাই যেন স্বাচ্ছন্দে আল্লাহর বিধিবিধানগুলো পালন করতে পারে। চাঁদের মাস ও বছরের হিসাবেই সহজে এটা করতে পারা যায়। জোতির্বিদ্যা বা আবহাওয়া বিষয়ক তথ্য যাদের কাছে থাকে না তারাও চাঁদ দেখে স্বাচ্ছন্দ্যে এ বিধানগুলো পালন করতে পারে। আরেকটি ব্যাপার হচ্ছে,চান্দ্রবর্ষের হিসাব অনুযায়ী হওয়ায় একটি ইবাদত বিভিন্ন মৌসুমে পালনের সুযোগ মুসলমানরা পান। কখনও রোযা ছোট দিনের হয়,কখনও দীর্ঘ দিনের। কখনও ঈদ ও হজ্ব হয় শীতকালে,কখনও গ্রীষ্মকালে। মৌসুমের এই বৈচির্ত্যের কারণে মুসলমানরা একটি ইবাদত বা উৎসব আল্লাহর দেওয়া সব ক’টি মৌসুমেই পালন করতে পারেন। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়,ইসলামের ঐতিহাসিক ঘটনাবলীর দিন-তারিখগুলোকে খ্রিস্টীয় সন-তারিখে রূপান্তরিত করে পালন করা হয় বা স্মরণ করা হয়। এটা কতটুকু যুক্তিযুক্ত? আমার মনে হয় এটা যুক্তিযুক্ত নয় এবং এমনটি করা উচিত নয়। কারণ, এসব ঘটনা যেসব মাস বা দিনে হয়েছে সেগুলোর আলাদা তাৎপর্য আছে। যেমন বদর যুদ্ধের দিনের কথা বলতে পারেন। যুদ্ধটি হয়েছে রমযান মাসে। কোরআন নাযিলের মাসে। এখন এ যুদ্ধদিনের তারিখকে খ্রিস্টীয় সনে অনুসরণ করে স্মরণ করলে একসময় দেখা যাবে যে,দিনটি আর রমযান মাসে নেই। তখন এ যুদ্ধের ইতিহাসের যে আবেদন রয়েছে,তা কিছুটা হারিয়ে যাবে। তাই এজাতীয় ঘটনা ও দিবসকে হিজরী সন ও তারিখ দিয়েই গণনা করা উচিত। তবে হিজরী সন ঠিক রেখে কেউ যদি এর সঙ্গে খ্রিস্টীয় সনকে মিলিত করে উল্লেখ করেন,সেটা দোষণীয় নয়।

হিজরী সন বা ইসলামী সনকে স্মরণ ও অনুশীলনে রাখা মুসলমানদের জন্য কতটা দরকারি?

শুধু হিজরী সন নয়,হিজরী সনের মাসগুলোর তারিখ ব্যবহারে ও চর্চায় রাখা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য কর্তব্য। মুসলমানদের হিসাব-নিকাশগুলো হিজরি তারিখ উল্লেখ করেই করা উচিত। অন্য সনের হিসাব অনুগামী হিসেবে আসতে পারে। মনে রাখতে হবে,ইসলামী তারিখ বা চন্দ্রবর্ষের হিসাব রক্ষা করা মুসলমানদের জন্য ফরযে কেফায়া।


অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ

মন্তব্য করুন