ইউক্রেন ও রাশিয়া যুদ্ধে অসংখ্য বিদেশী নাগরিক ও শিক্ষার্থী আটকে পড়েছেন। নিরাপত্তাহীনতার মধ্যেই অনাহার ও অর্ধাহারে কাটাচ্ছেন দুর্দশাগ্রস্থ সময়। নিরাপত্তার জন্য থাকছেন বেজমেন্টে। জ্বালাচ্ছেন না লাইট, সঙ্গী করেছেন ঘোর অন্ধকারকে। বাজারগুলোতে দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট। ফলে সওদা করতে না পেরে সুপারশপ গুলো থেকে খালি হাতে ফিরছেন নাগরিকরা। দেশটির খারকিভে আটকে পড়া এক বাংলাদেশি মেডিকেল শিক্ষার্থী রোহান লাইভে এসে যা বললেন তা তুলে ধরা হলো-
রোহান বলেন, “আমি এখন মার্কেটে খাবার কেনার জন্য এসেছি, কিন্তু কোন খাবার নেই। আশেপাশে অভিযান চলছে তাই আমরা নিরাপত্তার জন্য লাইট বন্ধ করে দিয়েছি এবং বাসার দরজাও বন্ধ করে ফেলেছি। যুদ্ধের কারণে আমাদের সারাক্ষণ ঘরের ভেতর থাকতে হচ্ছে। দিনের নির্দিষ্ট সময়ে শুধু মাত্র জরুরি কাজ সারতে বাহিরে যেতে পারি। আগে রাত আটটায় কারফিউ ছিলো আর এখন বিকেল থেকেই কারফিউ শুরু হয়।
মার্কেটে লবণ, চাউলসহ প্রয়োজনীয় কোন জিনিসই পাওয়া যাচ্ছে না। দোকানগুলোতে ডেবিট কার্ড কাজ করছেনা। ব্যাংক থেকে শুধু মাত্র ১ হাজার (ইউক্রেনীয়) টাকা উত্তোলন করা যায়। খাবারের দাম অনেক বেড়েছে। তাও জীবন বাঁচানোর জন্য খাবার সংগ্রহ করে খেতে হয়।”
খারকিভ থেকে পোল্যান্ডের বর্ডার দূরে হওয়ায় সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার সাহস পাচ্ছি না। “যে ট্রেনগুলো সীমান্তে যাচ্ছে তাতে ২০০-৩০০ আসন রয়েছে। সেগুলোতে ইউক্রেনের নারী ও শিশুদের যেতে দিচ্ছে। কিন্তু আমাদের আটকে রাখা হয়েছে।” কয়েক হাজার বিদেশী শিক্ষার্থী রুশ সীমান্তবর্তী খারকিভে আটকা পড়েছে বলে জানান রোহান।
রোহানের মতে পোলিশ সীমান্তে নয়, রাশিয়া সীমান্ত দিয়েই আটকে পড়াদের উদ্ধার তৎপরতা সহজ হবে। “যুদ্ধ আমাদের নিকটবর্তী রুশ সীমান্তেই হচ্ছে। আমাদের এম্বাসি চাইলে এখান থেকে আমাদের বের করতে পারে। সামনে আমার বোনের বিয়ে, আমি ২৬ ফেব্রুয়ারি বিমানের টিকেট কনফর্ম করেছিলাম কিন্তু ২৪ তারিখ থেকেই বিমানের সব ফ্লাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কে জানতো হঠাৎ এমন যুদ্ধ বেধে যাবে!”
মন্তব্য করুন