• , |
  • ঢাকা, বাংলাদেশ ।
সর্বশেষ নিউজ
* মহাখালীতে সিএনজি ফিলিং স্টেশনে আগুন * আবাসন ভাতা নিশ্চিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ * ৮৩টি আসনের সীমানা পরিবর্তনে আবেদন পড়েছে ১৭৬০টি * ঠিকাদারির টাকা নিতে গিয়ে ঢাবিতে আটক ছাত্রলীগ নেতা * রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তি করতে পারবে না প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা * সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক * বিএনপির জনসমর্থন ১৬, জামায়াতের ৩১ শতাংশ—জরিপ কতটা বিশ্বাসযোগ্য * শেখ মুজিবের অসমাপ্ত আত্মজীবনী লিখে পদ বাগিয়েছিলেন জাবেদ পাটোয়ারী * সাবেক ক্রিকেটার জেসি বিশ্বকাপে ইতিহাস গড়তে চলেছেন * ১০টি প্রকল্পএকনেক সভায় অনুমোদন

পাসপোর্টেও নজিরবিহীন জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন বেনজীর

news-details

ছবি : সংগৃহীত


এই সময়ের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হলো সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের দুর্নীতি ও সম্পদ জালিয়াতি এবং সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের নিষেধাজ্ঞা। বেনজীর আহমেদ শুধু দুর্নীতি করেননি বরং পাসপোর্ট করার সময়ও করেছেন ভয়াবহ জালিয়াতি। বিশেষ সুবিধা নিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বানিয়েছেন নিজের পাসপোর্ট।

বেনজিরের পাসপোর্ট অনুসন্ধান করে দেখা গেছে পুলিশ পরিচয় আড়াল করেছেন তিনি। তিনি সরকারি চাকরিজীবী হলেও শুরু থেকে এখন পর্যন্ত তিনি নীল রঙের অফিশিয়াল পাসপোর্ট করেননি। সুযোগ থাকার পরও নেননি ‘লাল পাসপোর্ট’।

বেসরকারি চাকরিজীবী পরিচয়ে সাধারণ পাসপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রেও আশ্রয় নিয়েছেন নজিরবিহীন জালিয়াতির।

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের আলোচিত দুই ভাই হারিস আহমেদ ও তোফায়েল আহমেদ জোসেফ যে প্রক্রিয়ায় পাসপোর্ট করেছিলেন, সেই একই কায়দায় পাসপোর্ট নেন বেনজীর। 

মজার বিষয় হলো নবায়নের সময় বিষয়টি ধরা পড়লে আটকে দেয় পাসপোর্ট অধিদপ্তর। চিঠি দেওয়া হয় র‌্যাব সদর দপ্তরে। কিন্তু অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে ম্যানেজ করেন সব। পাসপোর্ট অফিসে না গিয়ে নেন বিশেষ সুবিধা।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানের মতে, সরকারি কর্মকর্তারা পূর্বানুমোদন (এনওসি) ছাড়া বিদেশে যেতে পারেন না। এটা এড়ানোর জন্য সরকারি চাকরির তথ্য গোপন করে পাসপোর্ট নেওয়াটা একটা কারণ।

অন্য কারণ হচ্ছে- বেসরকারি চাকরিজীবী হিসাবে তিনি যতটা সহজে বিদেশে ভ্রমণ, বিনিয়োগ ও স্থায়ী বসবাসের সুযোগ পাবেন, সরকারি চাকরিজীবী পরিচয়ে অফিশিয়াল পাসপোর্ট করলে সেই সুযোগ পাবেন না।

কাজেই ভয়াবহ ধরনের অপরাধের পরিকল্পনা যে তার শুরু থেকেই ছিল, এটা তারই পরিচায়ক বলে ইফতেখারুজ্জামান মনে করেন।

সাবেক এই আজিপির দুর্নীতির প্রসঙ্গে নিউ এইজের প্রধান শিরোনাম,  অর্থাৎ, ‘সাবেক আইজিপি বেনজীরের পরিবারের আরও জমি, সম্পদের সন্ধান পেয়েছে দুদক’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দুদক কর্মকর্তারা বেনজির ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রায় ৫০ বিঘা জমির তথ্য পেয়েছেন এবং ঢাকার উত্তরা ও ভাটারা এলাকায় যথাক্রমে দুটি সাততলা ভবন শনাক্ত করেছেন।

২০১৬ সালে জমির দাম বিঘা প্রতি ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা হলে বেনজীর আহমেদ ওই এলাকায় জমি কেনা শুরু করেন।

কিন্তু দলিলপত্রে তিনি জমির দাম কম দেখিয়েছেন বলে দুদকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এদিকে ভাটারার ভবনটি সম্প্রতি বিক্রি করা হয়েছে বলে দুদক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

বেনজির আহমেদের ব্যাংক হিসাব জব্দের আগে ওই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলা হয়েছে এবং এক্ষেত্রে ব্যাংক কর্মকর্তাদের গাফিলতি খুঁজে পেয়েছেন দুদক কর্মকর্তারা।

দুদক জানায়, বেনজিরসহ অন্যদের অবৈধ সম্পদের সন্ধান পেলে কমিশন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। তার সম্পদের সুবিধাভোগীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এরমধ্যে বেনজির বর্তমানে কোথায় আছেন সেই বিভ্রান্তির মধ্যে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তিনি এখন বিদেশে থাকতে পারেন।

তিনি দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে দেশে ফিরতে হবে, সরকার এ বিষয়ে আপস করবে না বলেও তিনি জানান।


এনএনবিডি ডেস্ক :

মন্তব্য করুন