ছবি: সংগৃহীত
ঘুমন্ত স্বামীর খাটের পাশেই মিললো স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ। এ ঘটনায় সৃষ্টি হয় চাঞ্চল্যের। কেউ বলছেন আত্মহত্যা, কেউ বলছেন খুন। খবর পেয়ে স্বামীকে আটক করে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাতে ভোলার মনপুরা উপজেলার উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের ২ ওয়ার্ডে ওই গৃহবধুর বাবার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ ইউনুছের মেয়ে তানিয়া (১৯) এর সাথে দেড় বছর আগে বিয়ে হয় হাজীর হাট ইউনিয়নের চরফৈজুদ্দিন গ্রামের ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ ইসমাইল মাঝির ছেলে মোঃ সজিবের সাথে। সেই থেকে তাদের দাম্পত্য জীবন ভালোই চলছিলো। আড়াই মাস পূর্বে তানিয়ার কোলে জন্ম নেয় এক ফুটফুটে ছেলে সন্তান। সেই সন্তানকে নিয়ে ৭ দিন পূর্বে তানিয়া বাবার বাড়ি বেড়াতে আসে। সোমবার (১৬ জুন)রাত আনুমানিক ১টায় সজিবও তার শশুড় বাড়িতে আসে। রাতে তানিয়ার বাচ্চা তার মায়ের খাটে ঘুমিয়ে গেলে তানিয়া ও সজিব তাদের রুমে ঘুমাতে যায়। পরে রাত ১ টায় বাচ্চা ঘুম থেকে কেঁদে উঠলে তার নানী বাচ্চা দিতে তানিয়ার রুমে যায়। তখন তানিয়ার মা খাটের পাশে ঘরের চালের আড়ার সাথে তানিয়াকে ঝুলতে দেখে চিৎকার করে ওঠে। তখন পাশেই খাটে ঘুমাচ্ছিলো তানিয়ার স্বামী সজিব। ডাক চিৎকারে ঘরের সবাই সজাগ হয়ে তানিয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। পরে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে তানিয়ার লাশ থানায় নিয়ে আসে। এবং তার স্বামী সজিবকে আটক করে। পরে পুলিশ তানিয়ার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ভোলায় প্রেরণ করে।
এদিকে নবজাতক সন্তানের জননীর এই অস্বাভাবিক মৃত্যুতে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তানিয়ার অকাল মৃত্যু মানতে পারছেন না তার বাবা-মা ও পরিবারের সদস্যরা। মৃত তানিয়ার মায়ের দাবী তার মেয়েকে খুন করা হয়েছে। কাতর কন্ঠে একটাই প্রশ্ন; স্বামী পাশে থাকা অবস্থায় স্ত্রী কিভাবে আত্মহত্যা করে?
এ বিষয়ে মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আহসান কবির বলেন, গৃহবধুর ঝলন্ত লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। সুরতহাল রিপোর্ট শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ভোলায় পাঠানো হয়েছে। মৃতের স্বামীকে আমরা আটক করেছি। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা প্রক্রিয়াধীন। এছাড়াও মৃত তানিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেলা প্রতিনিধি
মন্তব্য করুন