• , |
  • ঢাকা, বাংলাদেশ ।
সর্বশেষ নিউজ
* ডেঙ্গুতে আরও ৭ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১১৩৯ * সরকার কি চাইলে এখন রাষ্ট্রপতিকে সরিয়ে দিতে পারে? * রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে বঙ্গভবনের সামনের রাস্তা অবরোধ * পদত্যাগ করতে রাষ্ট্রপতিকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম * ১০১ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় দিন শেষ করল বাংলাদেশ * জামায়াত আমিরের সাথে জাতিসঙ্ঘের আবাসিক সমন্বয়কের সাক্ষাৎ * পুলিশের ২৫২ এসআইকে অব্যাহতিতে রাজনৈতিক কারণ নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা * মাহফুজ আনামের কাছে প্রশ্ন: হাসিনা-মুজিবের দুঃশাসনের পার্থক্য কোথায়? * ইরানকে গোপন তথ্য দেয়ায় ৭ ইসরাইলি আটক * নিরাপত্তার স্বার্থে এখনই শীর্ষ নেতার নাম ঘোষণা করছে না হামাস

সিন্ডিকেটে চড়া কাঁচামরিচসহ সবজির বাজার

news-details

ছবি-সংগৃহীত


রাজধানীর বাজারে কাঁচামরিচের দাম নিয়ে চলছে নৈরাজ্য। ঈদুল আজহার কয়েকদিন আগে হঠাৎ কেজিতে সর্বোচ্চ ১১০ টাকা বেড়েছিল। এতে প্রতি কেজির দর পৌঁছেছিল ৪০০ টাকার কাছাকাছি। গত এক সপ্তাহে ৩০০ টাকা ছাড়িয়েছে কাঁচামরিচের দাম। কাঁচামরিচের দাম একলাফে দ্বিগুণ বাড়ার কারণে কোরবানির পর সরকার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানির। আর এই খবরে কিছুটা দাম কমলেও রাজধানির বেশির ভাগ বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৪০-২৮০ টাকায়।

রোবাবার (৩০) জুন) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে মান ভেদে ২৪০-২৮০ টাকা। দুই-একদিনের ব্যবধানে দ্রুত দাম বাড়ায় ও কমায় চোখ কপালে উঠছে ক্রেতা-খুচরা ব্যবসায়ীদের। ক্রেতা ও খুচরা ব্যবসায়ীরা দুষছেন পাইকারি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটকে।

শ্যামবাজার ও কারওয়ান বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, কাঁচামরিচের মৌসুম প্রায় শেষ। অন্যদিকে ঈদের বন্ধের কারণে ভারত থেকে আট দিন মরিচ আসেনি। তা ছাড়া ঈদের ছুটির কারণে ট্রাক ভাড়া বেড়েছে। এ জন্য কাঁচামরিচের সরবরাহ কমায় দাম বাড়ছে। তবে ভারত থেকে কাঁচামরিচ এলে দাম আরও কমবে।

রোববার রাজধানীর কারওয়ানবাজার, শ্যামবাজার, রামপুরা বাজার, মধ্যবাড্ডা বাজার ও নিউমার্কেট কাঁচাবাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজারে দেশি ছোট জাতের কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি দরে। এ ছাড়া হাইব্রিড জাতের বড় আকারের মরিচ বিক্রি হয়েছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায়।

তবে ডিমের দাম নতুন করে না বাড়লেও আগের সেই দরে ডজন ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রামপুরা কাঁচাবাজারের সবজি ব্যবসায়ী শওকত আলী বলেন, কোরবানি ঈদের আগে ২৯০-৩০০ টাকার মতো কেজি ছিল কাঁচামরিচের। এখন পাইকারি কিনতেই প্রতি কেজিতে খরচ পড়ে ২৪০-২৫০ টাকার মতো। পরিবহনসহ অন্যান্য খরচ তো আছেই। সব হিসাব করলে ২৬০-২৮০ টাকার কমে বিক্রি করা যায় না। শুক্রবার তো ৩২০ টাকা কেজি বিক্রি করছি। ওইদিন কিনেছি ৩৪০-৩৫০ টাকা কেজিতে।

নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী রজব শেখ বলেন, অনেক কৃষকের ক্ষেতের মরিচ শেষ হয়ে গেছে। নতুন করে লাগানো গাছে এখনও মরিচ আসা শুরু হয়নি। ঈদের কারণে পরিবহন খরচ বেড়েছে। এতে ঢাকায় মরিচ সরবরাহ কমেছে। তা ছাড়া ঈদের ছুটির কারণে ভারত থেকে কয়েকদিন মরিচ আসেনি। এটাও দাম বাড়ার একটা অন্যতম কারণ।

এছাড়া ঈদের আগে পাইকারি ৭৫-৮০ টাকা কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। কিন্তু আজ পাইকারিতে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকায়। এছাড়া খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যেখানে গত সপ্তাহেও ৮৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে পেঁয়াজ।

বিভিন্ন জাতের এবং আমদানি করা রসুন ২২০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৭০ টাকায়।

এদিকে, আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, যা গত এক-দুই সপ্তাহে অনেক জায়গায় ৫০-৫৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। স্থানভেদে পাকা টমেটোর কেজি ১০০-১২০ টাকা, পেঁপে ৫০-৬০ টাকা, জাত ও মানভেদে বেগুন ৮০-১২০ টাকা, করলা ৬০-৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০-৫০ টাকা, বরবটি ৭০-৮০ টাকা ও পটল ৪০-৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

চিচিঙ্গা ৬০-৭০ টাকা, ঝিঙা ৬০-৭০ টাকা, কচুর লতি ৭০-৮০ টাকা, কচুরমুখী মানভেদে ৮০-১০০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, শসা ৫০-৬০ টাকা ও কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা।

মধ্যবাড্ডা বাজার করতে আসা আসিফ খান বলেন, বাজারের সব কিছুর দাম বেশি। তবে মরিচের দাম এক সপ্তাহ ধরে যেভাবে বাড়ছে কমছে তাতে করে এর পিছনে যে সিন্ডিকেট আছে তা আমরা সাধারণ জনগণ বুঝে গেছি কিন্তু সরকারের বাজার নিয়ন্ত্রণ সংস্থাগুলো বুঝছে না বলে আজ অসাধু ব্যবসায়ীরা আমাদের এভাবে বোকা বানাচ্ছে।

মাছের বাজারে উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মাছ। পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৩০ টাকা কেজি। আকার ও মানভেদে অনেকটা একই দামে বিক্রি হচ্ছে তেলাপিয়া। চাষের কই ২৮০-৩০০ টাকার নিচে মিলছে না। আকার ও মানভেদে রুই-কাতলার দাম হাঁকানো হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি। আকারভেদে শিং মাছ ও বাইলা মাছ প্রতি কেজি ৬০০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া পোয়া মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০, পাবদা মাছ ৩৫০ থেকে ৫০০, মলা মাছ ৫০০, কাচকি মাছ ৬০০, বাতাসি টেংরা ৯০০, অন্য জাতের টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৭০০, পাঁচ মিশালি মাছ ৪০০-৫০০, বাইম মাছ ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা ও রুপচাঁদার কেজি ১ হাজারে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

মাংসের বাজার গিয়ে দেখা গেছে, মুরগির দাম বেড়েছে। কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৯০-২০০ টাকা, দেশি মুরগি ৭০০-৭৩০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৩৬০ টাকায়। আর প্রতি কেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩২০ টাকায়।

এছাড়া, বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০-৮০০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজি স্থানভেদে ১৯০-২১০ টাকা। এছাড়া সোনালি ও লেয়ার জাতের মুরগির কেজি স্থানভেদে ৩২০ থেকে ৩৬০ টাকা। খাসির মাংস আগের মতোই ১হাজার ১০০ থেকে ১হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।


এনএনবিডি ডেস্ক

মন্তব্য করুন