• , |
  • ঢাকা, বাংলাদেশ ।
সর্বশেষ নিউজ
* বিমানবন্দরে ঢুকলো যাত্রীবাহী বাস, এক প্রকৌশলী নিহত * শিশু হাসপাতাল ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট * সরকার গোটা দেশকেই কারাগারে পরিণত করেছে : মির্জা ফখরুল * প্রাণ বাাঁচাতে বাংলাদেশে বিজিপির আরো ১৩ সদস্য * ফরিদপুরে গণপিটুনিতে দুই ভাইয়ের মৃত্যু * ঢাকাসহ ৬ বিভাগে ঝড়বৃষ্টির আভাস * ইরানে পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইসরাইল * উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিলেই আজীবন বহিষ্কার * চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু * পাবনায় ভারতীয় চিনি বোঝাই ১২টি ট্রাকসহ আটক ২৩

রওশনকে ঘিরে জাপায় অস্বস্তি

news-details

ফাইল ছবি




 বিরোধীদলীয় নেতা ও দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদকে নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে জাপা। জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে নানা বিষয়ে অন্তর্কোন্দলে দলে দ্বিধাবিভক্তি তৈরী হয়েছে।

রওশন সংশ্লিষ্টতায় মসিউর রহমান রাঙ্গাসহ দলের বেশ কয়েকজনকে দল থেকে অব্যাহতি আর কারণ  দর্শাতে দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নোটিশের পর এতোদিন বিভক্তি গোপনে চলে আসছিলো। কিন্তু জাতীয় সংসদের ভোট গ্রহণে ইভিএমের পক্ষে রওশন এরশাদের বক্তব্য বিভক্তি প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছে। শুধু তাই নয়, রওশন থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কাউন্সিলের ঘোষণাও দিয়েছেন।

জানাগেছে থাইল্যান্ডে চিকিৎসা শেষে দেশে অক্টোবরেই রওশন দেশে ফিরবেন। আগামী ২৬ নভেম্বর রওশন এরশাদের ডাকা কাউন্সিলের প্রস্তুতিও চলছে বেশ জোরেশোরে। সিলেট, গাজীপুরসহ ১২ জেলায় কাউন্সিলের প্রস্তুতি কমিটিও হয়েছে। কাউন্সিল সফল করতে জেলায় জেলায় যাচ্ছেন রওশনপন্থি নেতারা। যদিও দলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতা রওশনের ডাকে সাড়া দেননি।


রওশনপন্থিরা বলছেন, জাপা থেকে জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছেন দলের এমন নেতারা যোগাযোগ না করলেও তৃণমূল থেকে আসছে ব্যাপক সাড়া। সবকিছু ঠিক থাকলে অক্টোবর মাসেই রওশন এরশাদ দেশে আসবেন। তখন কাউন্সিল করার যাবতীয় কাজ আরও জোরেশোরে হবে। যে কোনো মূল্যে কাউন্সিল সফল করতে নির্দেশনা দিয়েছেন রওশন।

দলীয় সূত্র জানায়, কাউন্সিলের তোড়জোড়ে অস্বস্তিতে পড়েছেন জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের। কাউন্সিল ও রওশন এরশাদকে নিয়ে যারা মুখ খুলছেন তাদের বহিষ্কার কিংবা আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন না দেয়ার হুমকিও দিচ্ছেন।

এরআগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর রওশন এরশাদ ইস্যুতে পক্ষ নেয়ায় জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্যসহ দলের সব পদ-পদবি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় মসিউর রহমান রাঙ্গাকে। এর তিনদিন পর ১৭ সেপ্টেম্বর অব্যাহতি দেয়া হয় চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধাকে। গত ২৮ সেপ্টেম্বর জিএম কাদেরের উপদেষ্টা ও বরিশাল মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক মহসিন উল ইসলাম ওরফে হাবুলকে দল থেকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেয়া হয়।

এছাড়া শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর রংপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান একেএম আব্দুর রউফ মানিক আর ২ অক্টোবর ময়মনসিংহ জেলা জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. কে আর ইসলামকে পার্টি থেকে অব্যাহতি দেন দলটির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।

এর আগে হঠাৎ করেই গত ৩০ আগস্ট দলের সম্মেলন করার ঘোষণা দেন রওশন এরশাদ। ২৬ নভেম্বর ডাকেন দলের কাউন্সিল। যদিও জিএম কাদেরের দাবি কাউন্সিল ডাকার এখতিয়ার রওশন এরশাদের নেই। কাউন্সিল ডাকার পরদিনই জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের সভা ডেকে রওশন এরশাদকে বিরোধীদলীয় নেতার পদ থেকে সরিয়ে জাপার চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদেরকে স্থলাভিষিক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। সেই সভায় মসিউর রহমানও অংশ নেন ও সভার কার্যবিবরণীতে স্বাক্ষর করেন। পরে তার নেতৃত্বেই সংসদীয় দলের সিদ্ধান্ত স্পিকারের কাছে পৌঁছানো হয়। কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্ত এখনো কার্যকর হয়নি সংসদে।


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রওশনপন্থি এক নেতা কাউন্সিল প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা কাউন্সিলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা ম্যাডামের ডাকে সাড়া দেননি। এটা তো ওনাদের ঠিক হয়নি। ম্যাডাম তো তাদের নিয়েই কাউন্সিল করতে চেয়েছিলেন। এর আগে ম্যাডাম ডাকলেন হোটেলে, তারা আসেননি। যারা এমপি বা সংসদ সদস্য তারা আসতে চাইছেন না। রওশন ম্যাডামের কথা হলো আমার কর্মীদের গুরুত্ব অনেক বেশি সংসদ সদস্যদের তুলনায়।

 অপরদিকে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুসহ দলটির অনেক বড় নেতার অবদান নিয়ে প্রশ্ন তুলে ওই নেতা বলেন, ‘কাদের সাহেবকে এরশাদ সাহেবের ভাই হিসেবে সব সময় দেখছি। দুর্দিনে কোনোদিন কাদের সাহেবকে পাইনি। মিটিং, মিছিলে কোথাও ছিলেন না তিনি। চুন্নু সাহেবও আমাদের দুর্দিনে কোনোদিন ছিলেন না। রওশন এরশাদের চাওয়া দুর্দিনে যারা দলে ছিলেন তারা যেন ফিরে আসে। মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা রওশন এরশাদের শক্তি। এসব বিশ্লেসনে তাদের ধারণা কাউন্সিলে মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা রওশনকেই সমর্থন দেবেন। এ নিয়ে এখন অস্বস্থিতে রয়েছেন জিএম কাদের ও তার সমর্থকরা।


নিজস্ব প্রতিবেদক

মন্তব্য করুন