• , |
  • ঢাকা, বাংলাদেশ ।
সর্বশেষ নিউজ
* ডেঙ্গুতে আরও ৭ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১১৩৯ * সরকার কি চাইলে এখন রাষ্ট্রপতিকে সরিয়ে দিতে পারে? * রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে বঙ্গভবনের সামনের রাস্তা অবরোধ * পদত্যাগ করতে রাষ্ট্রপতিকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম * ১০১ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় দিন শেষ করল বাংলাদেশ * জামায়াত আমিরের সাথে জাতিসঙ্ঘের আবাসিক সমন্বয়কের সাক্ষাৎ * পুলিশের ২৫২ এসআইকে অব্যাহতিতে রাজনৈতিক কারণ নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা * মাহফুজ আনামের কাছে প্রশ্ন: হাসিনা-মুজিবের দুঃশাসনের পার্থক্য কোথায়? * ইরানকে গোপন তথ্য দেয়ায় ৭ ইসরাইলি আটক * নিরাপত্তার স্বার্থে এখনই শীর্ষ নেতার নাম ঘোষণা করছে না হামাস

বাইডেনের পরিবর্তে কমলা হ্যারিস কি ট্রাম্পকে হারাতে পারবেন?

news-details

ছবি-সংগৃহীত


যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট  নির্বাচনে রিপাবালিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারানোর ব্যাপারে ডেমোক্র্যাট শিবিরের আস্থা কমছে বয়সের ভারে ন্যূজ জো বাইডেনের ওপর। গত মাসে ট্রাম্পের সঙ্গে মুখোমুখি বিতর্কে বাইডেনের লজ্জাজনক হারের পর দলটিতে উদ্বেগ আরো বেড়েছে। বিতর্কের পর বাইডেন নিজের দুর্বলতা স্বীকারও করেছেন। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন মহলে বাইডেনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান ক্রমেই জোরালো হচ্ছে।

বিশ্লেষকদের মতে, জো বাইডেন নির্বাচনী প্রতিযোগিতা থেকে সরে দাঁড়ালে স্বাভাবিকভাবেই তার উত্তরসূরী হবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। কারণ তিনি প্রতিপক্ষ শিবিরকে চিন্তায় ফেলতে  পারেন। তার  নিজস্ব পরিচিতিও রয়েছে। এ অবস্থায় ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রভাবশালীরাও ধীরে ধীরে তার দিকে ঝুঁকছেন। 

যদিও এখন পর্যন্ত নির্বাচনী লড়াইয়ে থাকার ব্যাপারে অনড় বাইডেন।তারপরও বিভিন্ন মহলে বিতর্কের কারণে প্রশ্ন উঠছে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারানোর জন্য বাইডেনের চেয়ে কমলা হ্যারিস কি বেশি যোগ্য প্রার্থী?

৫৯ বছর বয়সী হ্যারিস একসময় সিনেটর ছিলেন। ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্বপালন করেছেন। বাইডেন যদি সত্যিই সরে দাঁড়ান এবং আগামী ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে কমলা হ্যারিস শেষপর্যন্ত জয়লাভ করেন, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে তিনিই হবেন প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট। প্রথম আফ্রিকান-আমেরিকান ও এশীয় বংশোদ্ভূত ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে এরই মধ্যে ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়েছেন এ নেতা।

হোয়াইট হাউজে হ্যারিসের তার সাড়ে তিন বছরের কার্যকাল দুর্বল সূচনা হিসেবেই ধরা হয়। কর্মীদের টার্নওভার, মধ্য আমেরিকান অভিবাসনসহ তার আমলে গৃহীত বিভিন্ন নীতি খুব বেশি সাফল্য আনতে পারেনি।

এমনকি, গত বছরের শুরুর দিকে হোয়াইট হাউজের ভেতরে এবং বাইডেনের প্রচারণা দলের অনেকেই কমলা হ্যারিসকে নির্বাচনী দৌড়ে বোঝা বলে মনে করছিলেন। তারা এ বিষয়ে গোপনে উদ্বেগও জানিয়েছিলেন।

কিন্তু তারপর থেকে পরিস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে বদলে গেছে। ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতারা বলেছেন, গর্ভপাত অধিকারের বিষয়ে এগিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি তরুণ ভোটারদের মনোযোগ কাড়তে পেরেছেন হ্যারিস।

জরিপের ফল কী

বর্তমানে বেশ কিছু জরিপ বলছে, ট্রাম্পের বিপক্ষে প্রার্থী হলে বাইডেনের চেয়ে কমলা হ্যারিসই ভালো ফল করতে পারেন।

গত ২ জুলাই প্রকাশিত সিএনএনের জরিপে দেখা গেছে, ভোটাররা বাইডেনের চেয়ে ট্রাম্পকে ছয় শতাংশ পয়েন্টে এগিয়ে রেখেছেন। সেখানে ট্রাম্পের পক্ষে ৪৯ শতাংশ ও বাইডেনের পক্ষে ৪৩ শতাংশ ভোট পড়েছে। সেই তুলনায়, ট্রাম্পের সঙ্গে কমলা হ্যারিসের জনসমর্থনের পার্থক্য দুই শতাংশ পয়েন্টের (৪৭ শতাংশ বনাম ৪৫ শতাংশ)।

একই জরিপে দেখা দেছে, স্বতন্ত্ররা ট্রাম্পের (৪০ শতাংশ) চেয়ে হ্যারিসকেই বেশি সমর্থন করেন (৪৩ শতাংশ)। এমনকি উভয় দলের মধ্যপন্থি ভোটাররাও হ্যারিসকে এগিয়ে রেখেছেন (৫১ শতাংশ বনাম ৩৯ শতাংশ)।

আবার, রয়টার্স/ইপসোসের জরিপ বলছে, ট্রাম্প-বাইডেনের প্রথম প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কের পরে দেখা গেছে, হ্যারিস ও ট্রাম্পের জনসমর্থন প্রায় সমান। ৪২ শতাংশ ভোটার হ্যারিসকে ও ৪৩ শতাংশ ভোটার ট্রাম্পকে সমর্থন দিয়েছেন।

বাইডেনের সম্ভাব্য বিকল্পগুলোর মধ্যে কেবল সাবেক ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামাই ট্রাম্পের চেয়ে বেশি সমর্থন পেয়েছেন। যদিও ওবামাপত্নি কখনোই নির্বাচনে প্রার্থী হতে আগ্রহ দেখাননি।

প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কের পর বাইডেন প্রচারণা টিমের অভ্যন্তরীণ জরিপও বলছে, ট্রাম্পকে হারানোর ব্যাপারে বাইডেন ও হ্যারিসের সম্ভাবনা সমান। তাদের দুজনেই ভোটারদের কাছ থেকে ৪৫ শতাংশ সমর্থন পেয়েছেন। তবে ট্রাম্পের পক্ষে সায় দিয়েছেন ৪৮ শতাংশ ভোটার।

 

সূত্র: রয়টার্স


আন্তর্জাতিক ডেস্ক

মন্তব্য করুন