• , |
  • ঢাকা, বাংলাদেশ ।
সর্বশেষ নিউজ
* তুরস্ক কেন প্রকাশ্যে ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে সমর্থন দিলো * আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তে আমরা আনন্দিত: ফখরুল * আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনা তদন্তে উচ্চপর্যায়ের কমিটি * ভুটানকে ৩ গোলে উড়িয়ে সেমিতে বাংলাদেশ * সন্ত্রাসে জড়িত ব্যক্তি ও সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা যাবে * যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর কাশ্মির সংকটের স্থায়ী সমাধান চায় পাকিস্তান * হাটহাজারীতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী বাস খাদে * ১০ দফা দাবিতে পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংকলরি মালিকদের আলটিমেটাম * রাজনৈতিক ঐকমত্যে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করল সরকার * আ.লীগের বিচা‌রের দা‌বি বিএন‌পিই তু‌লে‌ছিল: সালাহউদ্দিন আহমেদ

নায়ক ফারুকের বর্ণাঢ্য জীবন

news-details

ফাইল ছবি


বাংলা চলচ্চিত্রের ‘মিয়াভাই’ খ্যাত বর্ষীয়ান চিত্রনায়ক, সংসদ সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক) মারা গেছেন। রোববার (১৫ মে) সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

মঙ্গলবার (১৬ মে) ভোরের ফ্লাইটে বর্ষীয়ান এই চিত্রনায়কের লাশ দেশে আনা হবে।

২০২১ সালের ৪ মার্চ থেকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন নায়ক ফারুক। গত দুই বছরে বিভিন্ন মাধ্যমে বেশ কয়েকবার তার মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে প্রত্যেকবারই পরিবারের পক্ষ থেকে সুস্থতার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছিলো।

একনজরে জেনে নিন চিত্রনায়ক ফারুকের বর্ণাঢ্য জীবন-

প্রারম্ভিক জীবন : ১৯৪৮ সালের ১৮ আগস্ট ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন ফারুক। তার বাবা আজগার হোসেন পাঠান। এ নায়কের শৈশব-কৈশোর ও যৌবনকাল কেটেছে পুরান ঢাকায়। পাঁচ বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার ছোট।

দাম্পত্য জীবন : ফারজানা পাঠানকে ভালোবেসে বিয়ে করেন চিত্রনায়ক ফারুক। তাদের সংসারে দুটি সন্তান রয়েছে। কন্যা ফারিহা তাবাসসুম পাঠান ও পুত্র রওশন হোসেন পাঠান শরৎ।

অভিনয় জীবন : ১৯৭১ সালে এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক। ১৯৭৩ সালে খান আতাউর রহমান পরিচালিত ‘আবার তোরা মানুষ হ’, ১৯৭৪ সালে নারায়ণ ঘোষ মিতা পরিচালিত ‘আলোর মিছিল’ দুটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্রে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন। এরপর ১৯৭৫ সালে গ্রামীণ পটভূমিতে নির্মিত ‘সুজন সখী’ ও ‘লাঠিয়াল’ দুটি ব্যবসাসফল ও আলোচিত চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন এবং সে বছর ‘লাঠিয়াল’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য সেরা পার্শ্ব চরিত্রে অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৭৬ সালে মুক্তি পায় তার অভিনীত ৩টি সিনেমা সূর্যগ্রহণ, মাটির মায়া ও নয়নমনি। আর এই চলচ্চিত্র ৩টি বিভিন্ন বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে। পরের বছর শহীদুল্লাহ কায়সার রচিত কালজয়ী উপন্যাস ‘সারেং বৌ’ অবলম্বনে নির্মিত ‘সারেং বৌ’ ও আমজাদ হোসেন পরিচালিত ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এ চলচ্চিত্র দুটি নারীকেন্দ্রিক হলেও তার অভিনয় সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করে। ১৯৭৯ সালে তার অভিনীত নাগরদোলা, দিন যায় কথা থাকে, কথা দিলাম, মাটির পুতুল, সাহেব, ছোট মা, এতিম, ঘরজামাই চলচ্চিত্রগুলো ব্যবসাসফল হয়। ১৯৮০ সালে ‘সখী তুমি কার’ ছায়াছবিতে শাবানার বিপরীতে শহুরে ধনী যুবকের চরিত্রে অভিনয় করে সমালোচকদের প্রশংসা লাভ করেন। ১৯৮৭ সালে মিয়া ভাই চলচ্চিত্রের সাফল্যের পর তিনি চলচ্চিত্রাঙ্গনে মিয়া ভাই হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৬ তাকে আজীবন সন্মাননা দেয়া হয়।

রাজনীতি : স্কুলজীবন থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন নায়ক ফারুক। ১৯৬৬ সালে ৬ দফা আন্দোলনে যোগ দেন এবং এ সময়ে তার নামে প্রায় ৩৭টি মামলা দায়ের করা হয়। এরপর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিতব্য একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৭ সংসদীয় আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করেন এবং সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

ব্যবসায়িক জীবন : অভিনেতা ও রাজনীতিবিদের পাশাপাশি ফারুক একজন ব্যবসায়ী। গাজীপুরে অবস্থিত শিল্পপ্রতিষ্ঠান ফারুক নিটিং ডায়িং অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দীর্ঘদিন নিয়োজিত ছিলেন তিনি।

 


এনএনবিডি ডেস্ক:

মন্তব্য করুন