• , |
  • ঢাকা, বাংলাদেশ ।
সর্বশেষ নিউজ
* সাঈদীকে সর্বপ্রথম ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করেছিল : আব্দুল হালিম * মোঘল বাদশা হুমায়ুনের সমাধিসৌধের গম্বুজ ধসে নিহত ৫ * সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি কেউ যেন নষ্ট করতে না পারে * শনিবার রাজধানীর কিছু সড়ক এড়িয়ে চলতে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ডিএমপি * রাশিয়ার আলাস্কা যুক্তরাষ্ট্রের হলো কীভাবে * ৭ কলেজের সব কাগজপত্র সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির কাছে হস্তান্তর * বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে জন্মদিনে শুভেচ্ছা পাঠিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস * শেখ মুজিব জাতির জনক নন, মুজিববাদ একটি জীবন্ত বিপদ: নাহিদ * ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে: প্রেস সচিব শফিকুল আলম * মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য জরুরি নির্দেশনা

লিবিয়ায় ব্যাপক গোলাগুলি, বাংলাদেশিদের সতর্ক থাকার নির্দেশ

news-details

ছবি: সংগৃহীত


লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলিতে প্রতিদ্বন্দ্বী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। প্রভাবশালী নেতা মিলিশিয়া নেতা আবদেল ঘানি আল-কিকলি ওরফে “গেনিওয়া” নিহত হওয়ার পর এই সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।

স্থানীয় সময় সোমবার রাত ৯টার দিকে ত্রিপলির দক্ষিণাঞ্চলে প্রচণ্ড গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের শব্দে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নাগরিকদের ঘরে অবস্থান করতে এবং অপ্রয়োজনে বাইরে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

এদিকে পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনায় ত্রিপলিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসও সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্দেশে সতর্কবার্তা দিয়েছে। দূতাবাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সাম্প্রতিক অস্থিরতার প্রেক্ষিতে ত্রিপলিতে অবস্থানরত সকল বাংলাদেশি নাগরিককে যথাযথ সতর্কতা অবলম্বনের পাশাপাশি নিজ নিজ বাসস্থানে অবস্থান করার অনুরোধ করা যাচ্ছে।”

এছাড়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে নিরাপদে থাকার পরামর্শ দিয়েছে দূতাবাস। 

আল-কিকলি ছিলেন 'স্ট্যাবিলিটি সাপোর্ট অথরিটি' নামের একটি শক্তিশালী মিলিশিয়া সংগঠনের প্রধান। সম্প্রতি তার সঙ্গে মিসরাতা-ভিত্তিক প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীগুলোর দ্বন্দ্ব চলছিল। তার মৃত্যুর খবরে রাজধানীর একাধিক এলাকায় গোষ্ঠীগত সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।

সংঘাতে এখন পর্যন্ত অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন বলে জানায় স্থানীয় সূত্র। আহতদের মধ্যে বেসামরিক নাগরিক রয়েছেন কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

জাতিসংঘের লিবিয়া সহায়তা মিশন (UNSMIL) এক বিবৃতিতে বলেছে, “ত্রিপলিতে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ভারী অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষ চলছে, যা গভীর উদ্বেগজনক। সব পক্ষকে অবিলম্বে লড়াই বন্ধ করে শান্তি ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানানো হচ্ছে।”

২০১১ সালে মোয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর থেকে লিবিয়ায় বহু সশস্ত্র গোষ্ঠী রাজধানী ও আশপাশের এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্বন্দ্বে লিপ্ত। সাম্প্রতিক এই সহিংসতায় দেশটির রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা বিশ্লেষকদের।


আন্তর্জাতিক ডেস্ক

মন্তব্য করুন