ছবি: সংগৃহীত
ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ। র্যাঙ্কিংয়ে ৭৩ ধাপ এগিয়ে থাকা মিয়ানমারকে রুখে দিয়েছে টাইগ্রেসরা। স্বাগতিকদের তাদের মাঠেই উপহার দিয়েছে হতাশা। ২-১ গোলের জয়ে ধরে রাখলো অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা।
এই নিয়ে নারী এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বে টানা দ্বিতীয় জয়ের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। তাতে স্বাগতিকদের হতাশায় মুড়িয়ে এশিয়ান কাপের মূল পর্বে এক পা দিয়ে রাখলো লাল-সবুজরা।
প্রথম ম্যাচে বাহরাইনকে ৭-০ গোলে হারিয়ে বাছাইপর্ব শুরু করেছিল বাংলাদেশ। এবার মিয়ানমারকে হারিয়ে টেবিলের শীর্ষে ওঠার পাশাপাশি গোল ব্যবধানেও অনেকটা এগিয়ে গেল লাল-সবুজের দল।
শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে ড্র করলেও এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা নিশ্চিত হবে বাংলাদেশের। হেরে গেলেও সুযোগ থাকবে। তখন অবশ্য মিয়ানমার-বাহরাইন ম্যাচের দিকে চোখ রাখতে হবে ঋতুপর্ণাদের।
ইয়াঙ্গুনের থুউন্না স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই মিয়ানমারের বিপক্ষে চোখে চোখ রেখে খেলছে আফঈদা খন্দকাররা। আর ১৮ মিনিটে বাংলাদেশ এগিয়ে যায় গোল করে। গোল করেন ঋতুপর্ণা।
তহুরা খাতুন বক্সের কোণায় ফাউলের শিকার হলে ফ্রি কিক পায় বাংলাদেশ। ঋতুপর্ণার নেয়া ফ্রি কিক মানব দেয়ালে ফিরলে আবার বল পান তিনিই। এবার আর ভুল হয়নি, বাঁ পায়ের নিঁখুত শটে বল জালে পাঠান।
২৫ মিনিটে বাম দিক দিয়ে ঋতুপর্ণার ক্রসে দারুণ সুযোগ এসেছিল ব্যবধান বাড়ানোর। তবে শামসুন্নাহার জুনিয়র বলের কাছাকাছি থাকলেও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি।
৩১তম মিনিটে ফিউ ফউ উইনের দূরপাল্লার ফ্রি কিক সহজেই ফেরান রুপনা। ছয় মিনিট পর বিপদ হতে পারতো, রুপনা এগিয়ে আসায় ফাঁকা পোস্ট পেয়েছিল তারা। তবে শট বাহিরে গেলে বেঁচে যায় বাংলাদেশ।
বিরতির আগে আরো বেশ কয়েকটি আক্রমণ করে মিয়ানমার। চাপে ফেলে দেয় বাংলাদেশকে। তবে কাঙ্ক্ষি গোল পায়নি। এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় বাঘিনীরা।
বিরতির পর বাংলাদেশের রক্ষণে আরো চাপ বাড়ায় সমতায় ফিরতে মরিয়া মিয়ানমার। তবে টাইগ্রেসদের রক্ষণের দৃঢ়তায় ভেস্তে দিতে থাকে প্রতিপক্ষের প্রচেষ্টা।
এর মাঝেই ৭২তম মিনিটে ম্যাচে চালকের আসনে বসে যায় বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষের বক্সের একটু ওপর বল পেয়ে একটু এগিয়ে এসে শট নেন ঋতুপর্ণা। বল হাওয়ায় ভেসে গোলরক্ষককের মাথার ওপর দিয়ে জড়ায় জালে।
ঋতুপর্ণার জোড়া গোলে ২-০ তে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। ব্যবধান ধরে রেখে যখন ম্যাচ শেষ করার পথে টাইগ্রেসরা, তখন ৮৮তম মিনিটে গোল করে বসে স্বাগতিকেরা। ম্যাচে ফেরা উপলক্ষ্য পায় মিয়ানমার।
তবে বাংলাদেশ আর সুযোগ দেয়নি। বেশ দৃঢ়তার সাথে সামলে দেয় বাকি সময়টা। তাতেই প্রথমবারের মতো মিয়ানমারের বিপক্ষে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।
স্পোর্টস ডেস্ক