ফাইল ছবি
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের লাশের সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি। তার লাশের সন্ধানে বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চালাচ্ছে কলকাতার পুলিশ। এদিকে তার লাশের সন্ধান পাওয়া না গেলে ঝিনাইদহ-৪ আসন শূন্য ঘোষণা নিয়ে জটিলতা দেখা দিতে পারে।
জাতীয় সংসদের পক্ষ থেকে আনোয়ারুল আজিমের আসনটি শূন্য ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করার কথা। নির্বাচন কমিশনেরও ৯০ দিনের মধ্যে উপনির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু আসন শূন্য ঘোষণার আগে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া জরুরি।
১২ মে চিকিৎসার জন্য ব্যক্তিগত সফরে ভারতে যান ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম। ১৭ মে থেকে পরিবারের সঙ্গে তার যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। পরদিন তার নিখোঁজের বিষয়ে উত্তর কলকাতার বরানগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন আনারের বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। এরপর সংসদ সদস্যের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস (ডরিন) ঢাকায় গোয়েন্দা সংস্থা ডিবির কাছে বাবার নিখোঁজের অভিযোগ দেন।
গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ১৩ মে রাতে খুন করা হয় আনোয়ারুল আজিমকে। কলকাতা পুলিশ তার লাশ উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে। এর মধ্যে ১২ দিন পেরিয়ে গেলেও লাশের সন্দান পাওয়া যায়নি।
সংসদ সদস্য মারা গেলে কিংবা অনুমতি ছাড়া ৯০ কার্যদিবস সংসদের বৈঠকে অনুপস্থিত থাকলে পদ শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। এ-সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশনকে জানায় সংসদ। নির্বাচন কমিশন ৯০ দিনের মধ্যে উপনির্বাচনের আয়োজন করে।
সাধারণত কোনো সংসদ সদস্যের মৃত্যুর এক সপ্তাহের মধ্যেই আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়। সংসদ সদস্য মারা গেলে স্পিকার শোক প্রস্তাব গ্রহণ করেন। সংসদের অধিবেশন চলাকালে কেউ মারা গেলে ওই দিনের জন্য অধিবেশন মুলতবি করার রেওয়াজ আছে।
সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আবদুস সালাম গণমাধ্যমকে বলেন, এ সপ্তাহে বিষয়টি নিয়ে স্পিকারের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এনএনবিডি ডেস্ক :