news-details

হাসলে কি ওযু ভাঙে?

ছবি : সংগৃহীত


ওযু ভাঙা ও থাকার খুটিনাটি সম্পর্কে আমাদের মাঝে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। অযু নষ্ট হলে তা সালাহকে ভঙ্গের দিকে পরিচালিত করে। তাই অযুর মাসয়ালা জানা সকলের জন্যই জরুরি। অনলাইনের এই যুগে নানা রকম লেখা আমাদের সামনে সচরাচর চলে আসে। তাই অনেক ক্ষেত্রে বিভ্রান্তও হয় মানুষ। অযু ভঙ্গের সুস্পষ্ট কয়েকটি কারণ রয়েছে। 

সাধারণত অনেকে বিশ্বাস করে থাকেন যে একটি হাসি ওজুকে ভেঙে ফেলতে পারে। তবে তাদের বেশিরভাগই এর পিছনে কারণ এবং প্রমাণস্বরূপ কিছু জানে না বা উপস্থাপন করতে পারেন না। 

আমরা এ বিষয়টি নিয়ে একটু অগ্রসর হয়ে এ সংক্রান্ত ফতোয়াটি দেখার চেষ্টা করেছি।

প্রথম প্রশ্ন হলো- হাসতে হাসতে কি ভাঙা যায় অযুকে? এর এক কথায় উত্তর হলো ‘না’ তবে সালাত ভাঙে। 

সকল আলেম এ ব্যাপারে একমত যে, সালাতের বাইরে হাসাহাসি করা বা এর জন্য প্রস্তুত হওয়ার সময়ও ওযূকে নষ্ট করে দেবে না। তবে অট্টহাসিকে নিরুসাহিত করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বেশিরভাগ সময় মুচকি হাসি দিতেন। 

এই দুই ফতোয়ায় স্পষ্ট বলা আছে,শব্দ করে হাসলে ওযু ভেঙে যায় না। তবে একই ফতোয়ায় বলা হয়েছে, নামাজ পড়লে হাসতে হাসতে নামাজ ভেঙে যেতে পারে।

জাবির ইবনে আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু 'আনহু আদ-দারাকুতনী (৫১) ও আল-বুখারী থেকে মুআল্লাক হাদীসে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, যদি কেউ নামাজের সময় হাসে, তবে তাকে পুনরায় সালাত (নামাজ)  আদায় করতে হবে, তবে ওজু করার প্রয়োজন নেই।

মূলকথা

এতে হাসি বলতে বোঝায় জোরে জোরে হাসা, যা মানুষ শুনতে পায়। উল্লেখ্য, মুচকি হাসি আর অট্ট হাসির মধ্যে পার্থক্য আছে। আমরা অট্টহাসিকে বিবেচনায় নিচ্ছি, যার অর্থ এত জোরে হাসতে হবে যে সবাই তা শুনতে পাচ্ছে।

তবে শাইখুল ইসলাম শরীয়ত আল-উমদাহ ১/৩২৪ গ্রন্থে বলেছেন যে, কোনো সাহাবি হাসির কারেণে পুনরায় ওযু করেনি। এটি আমাদের জন্য দলীল হিসেবে গ্রহণ করার জন্য যথেষ্ট।

মূল কথা হলো- আপনি সালাহ আদায় করছেন কিনা তা বিবেচ্য নয়, হাসতে হাসতে অযু ভাঙে না।


এনএনবিডি ডেস্ক :