• , |
  • ঢাকা, বাংলাদেশ ।
সর্বশেষ নিউজ
* বিপিএল কর্তৃপক্ষকে ক্রিকেটারদের বকেয়া পরিশোধের আহ্বান * চীনে পথচারীদের ওপর উঠে পড়লো গাড়ি, নিহত অন্তত ৩৫ * গণমাধ্যমের ওপর সরকারের কোনো চাপ নেই: তথ্য উপদেষ্টা * রাজশাহী মেডিকেলে পরীক্ষা দিতে আসা ছাত্রলীগ কর্মীকে পিটুনি * ট্রাম্পের উচিত ইসরায়েলকে থামানো * ছাত্রলীগ নেতা চালিত ২৪টি ট্রেনের ইজারা চুক্তি বাতিল * ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ হাইকোর্টের * নাহিদ রানায় মুগ্ধ সিমন্স বললেন, ‘গতি কিনতে পাওয়া যায় না’ * ফ্যাসিস্ট সরকারের সুবিধাভোগী সাদপন্থীদের সুযোগ দিলে কঠোর কর্মসূচির হুমকি * অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে: মির্জা ফখরুল

নেপালকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

news-details

ছবি: সংগৃহীত


২০২২ সালে নেপালের কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো সাফ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জেতে বাংলাদেশ। একই মাঠে একই প্রতিপক্ষ ছিল এবারও। শেষ হাসি হাসল বাংলাদেশই। স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো সাফ চ্যাম্পিয়ন হলো বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের জয়ের পথে গোল দুইটি করেন মনিকা চাকমা ও ঋতুপর্ণা চাকমা। অন্যদিকে, নেপালের হয়ে একটি গোল করেন আমিশা কার্কি। 

কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে আজ বাংলাদেশ সময় পৌনে সাতটায় শুরু হয় ম্যাচ। একটি পরিবর্তন নিয়ে একাদশ সাজায় বাংলাদেশ। সাগরিকার বদলে ফরোয়ার্ড শামসুন্নাহার জুনিয়রকে একাদশে ফেরান কোচ পিটার বাটলার। চোটের কারণে সেমিফাইনালে খেলতে পারেননি তিনি। ম্যাচে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। শুরুতেই গোলের সুযোগ পায় বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় মিনিটে তহুরা খাতুনের শট পোস্টে লাগলে গোলবঞ্চিত হয় বাংলাদেশ। 

নবম মিনিটে বাংলাদেশ আরও একটি গোলের সুযোগ তৈরি করে। তবে তার পরের মিনিটেই গোল খাওয়া থেকে বেঁচে যায় বাংলার মেয়েরা। নেপালের আমিশা কার্কির শট পোস্টে লাগলে বেঁচে যায় বাংলাদেশ। ম্যাচের ২৩ মিনিটে হলুদ কার্ড হজম করে নেপাল। মনিকা চাকমাকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেছেন নেপালের আম্রিতা জইশি।

ম্যাচের ৩৩ মিনিটে ভালো একটি সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। শামসুন্নাহার জুনিয়রকে আঘাত করলে বক্সের ঠিক বাইরে ফ্রি কিক পায় বাংলাদেশ। তবে মারিয়া মান্দা গোলবারের বাইরে দিয়ে শট মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দেন। দুই মিনিট পর আরও একটি সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন মনিকা। 

প্রথমার্ধে বাংলাদেশ মোট ৬টি শট নেয়। যার ২টি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে, ৩টি শট করে ২টিই লক্ষ্যে রাখে নেপাল। তবে বাংলাদেশ একটি কর্নার আদায় করে নিতে পারলেও নেপাল কোনো কর্নার আদায় করতে পারেনি।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমে উঠে ম্যাচ। গোল আদায় করতে বেশি দেরি করেনি বাংলাদেশ। ম্যাচের ৫২তম মিনিটে নেপালের বক্সে জটলার সৃষ্টি হয়। এর মধ্য থেকে গোল দিয়েই বাংলাদেশকে এগিয়ে দেন মনিকা চাকমা। স্তব্ধ হয়ে যায় ১৫ হাজার ধারণক্ষমতার দশরথ স্টেডিয়াম। তবে গোল খেয়ে তেতে যায় নেপাল। ৩ মিনিট পরই সমতায় ফেরে তারা। প্রীতি রাইয়ের থ্রু পাস ধরে দুর্দান্ত গতিতে বাংলাদেশি ডিফেন্ডারদের পরাস্ত করে বল জালে জড়ান আমিশা। 

৬৭ মিনিটে মারিয়া মান্দার দুর্দান্ত একটি শট লাফ দিয়ে রক্ষা করেন নেপালি গোলকিপার। এরপর নেপাল বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করলেও গোলমুখ খুলতে পারেনি। ম্যাচের ৮১তম মিনিটে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। বাঁ প্রান্ত থেকে দুর্দান্ত এক শটে নেপালি গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ঋতুপর্ণা চাকমা। শেষ পর্যন্ত আর কোনো গোল না হলে টানা দ্বিতীয় শিরোপার স্বপ্ন পূরণ হয় বাংলাদেশের। 


স্পোর্টস ডেস্ক

মন্তব্য করুন