• , |
  • ঢাকা, বাংলাদেশ ।
সর্বশেষ নিউজ
* পরিচয় গোপন করে কারাভোগ, দুইজনের কারাদণ্ড * দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি : সেনাপ্রধান * ফের বেড়েছে স্বর্ণের দাম * শেয়ারবাজারে টানা দরপতন,বিনিয়োগকারিদের মাথায় হাত * আওয়ামী দুঃশাসনের মূলোৎপাটন ঘটাতে জনগণ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ : মির্জা ফখরুল * বিএনপি নির্বাচন ও গণতন্ত্রবিরোধী অবস্থান নিয়েছে: কাদের * বাংলাদেশে বিক্রি করা নেসলের শিশুখাদ্য নিয়ে ভয়ংকর তথ্য * উপজেলা নির্বাচনে কে কার আত্মীয় তা দেখবে না নির্বাচন কমিশন: ইসি আলমগীর * আমার স্ত্রীর কিছু হলে সাবেক সেনাপ্রধানকে আমি ছাড়বনা : ইমরান খান * আইপিএলে ডাক পেয়েও যেতে পারেননি শরিফুল

৬৭৮ শিক্ষককে চাকরিচ্যুতির নির্দেশ, ফেরত দিতে হবে বেতন-ভাতা

news-details

ছবি : সংগৃহীত


জাল সনদ ব্যবহার করে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি নেওয়া ৬৭৮ শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে এসব শিক্ষক বেতন-ভাতা বাবদ যে অর্থ নিয়েছেন সেগুলো ফেরত ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাসহ সাত দফা শাস্তি কার্যকরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

গত ১৮ মে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও তা গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশ করা হয়।

জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর (ডিআইএ) ইতোপূর্বে তদন্ত করে মোট ১৫৭৭ জনকে সনদ জালিয়াতির দায়ে চিহ্নিত করেছিল। তাঁদের মধ্যে ৬৭৮ জনের শাস্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাকিদের বিষয়টি রহস্যজনক কারণে সামনে আসেনি। তবে ইতোমধ্যে তাঁদের বেশ কয়েকজনকে মন্ত্রণালয় ‘বেকসুর’ হিসেবে খালাস দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ডিআইএ যাঁদের চিহ্নিত করেছিল তাঁরা সরকারের প্রায় সাড়ে ২৬ কোটি টাকা বেতন-ভাতা হিসেবে গ্রহণ করেছেন। টাকা আদায়ের জন্য ডিআইএ তাদের প্রতিবেদনগুলোতে সুপারিশ করেছিল।

২০১৫ সাল থেকে জাতীয় শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) মাধ্যমে সরকারি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ আছে। এর আগে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিজেরাই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে শিক্ষক নিয়োগ করত। অবশ্য ওসব নিয়োগ বোর্ডে সরকারি প্রতিনিধি থাকতেন। এ কারণে প্রশ্ন উঠেছে, একজন শিক্ষক নিয়োগ পাওয়ার আগে তাঁর কাগজপত্র স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় যাচাই হওয়ার কথা। এ ছাড়া এসব শিক্ষক যখন এমপিওভুক্ত হয়েছেন, তখনও তাঁদের কাগজপত্র যাচাই হওয়ার কথা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে। কিন্তু কেন তা যাচাই হয়নি এর কোনো উত্তর নেই। 

অভিযোগ রয়েছে, শিক্ষা প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তারা এ অপকর্মের পেছনে আছে। বিশেষ করে শিক্ষক নিবন্ধন সনদ প্রত্যয়নকারী সংস্থা এনটিআরসিএ, মাউশি এবং মন্ত্রণালয়ে একটি চক্র আছে, যারা পরস্পর যোগসাজশে ভুয়া সনদধারীদের রক্ষা করছে। একই সঙ্গে প্রয়োজনে ভুয়া সনদ পেতেও সহায়তা করছে। 


এনএনবিডি ডেস্ক:

মন্তব্য করুন