• , |
  • ঢাকা, বাংলাদেশ ।
সর্বশেষ নিউজ
* প্রাণ বাাঁচাতে বাংলাদেশে বিজিপির আরো ১৩ সদস্য * ফরিদপুরে গণপিটুনিতে দুই ভাইয়ের মৃত্যু * ঢাকাসহ ৬ বিভাগে ঝড়বৃষ্টির আভাস * ইরানে পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইসরাইল * উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিলেই আজীবন বহিষ্কার * চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু * পাবনায় ভারতীয় চিনি বোঝাই ১২টি ট্রাকসহ আটক ২৩ * ভারতে লোকসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু * পরিচয় গোপন করে কারাভোগ, দুইজনের কারাদণ্ড * দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি : সেনাপ্রধান

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে হামলা-ভাংচুর, ভোটগ্রহণ বন্ধ

news-details

ছবি: নিজস্ব


সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন নিয়ে চলছে চরম হট্টগোল। আওয়ামী লীগ-বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের বিক্ষোভ, পুলিশের হামলা, আইনজীবী, সাংবাদিকসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে ভোটগ্রহণ।

বিএনপিপন্থি  আইনজীবীরা অভিযোগ করেন ভোটের রাতেই ব্যালট পেপার সিল মারা হয়েছে।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ৫ শতাধিক (৩০ প্লাটুন) পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) সকাল ৮টার আগে থেকেই ভোট দেয়ার জন্য জড়ো হতে থাকেন আইনজীবীরা। এর মধ্যে সরকার সমর্থক আইনজীবীরা (সাদা প্যানেল) তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে যান। কয়েকজন আইনজীবী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। কিন্তু বাধা দেন বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেলের আইনজীবীরা।

বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা ভোট কেন্দ্রে বিক্ষোভ করেন। পাল্টা মিছিল করে আওয়ামীপন্থি আইনজীবরাও। এ সময় সংবাদ সংগ্রহে যান সাংবাদিকরা। বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। ধাওয়ার এ পর্যায়ে লাঠিচার্জ করে। আইনজীবীসহ সাংবাদিকদেরও মারপিট করে পুলিশ। এ ঘটনা বেলা পৌনে ১২টার দিকের।

এটিএন নিউজের সাংবাদিক জাভেদ আক্তারকে পিটিয়ে মাটিতে ফেলে দেয় পুলিশ, তাদের লাঠিচার্জে আরও আহত হয়েছেন- আজকের পত্রিকার রিপোর্টার এসএম নূর মোহাম্মদ, জাগো নিউজের রিপোর্টার ফজলুল হক মৃধা, মানবজমিনের মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার আব্দুল্লাহ আল মারুফ, এটিএন বাংলার ক্যামেরাপার্সন হুমায়ুন, সময় টিভির ক্যামেরাপার্সন সোলাইমান স্বপন, ডিবিসির ক্যামেরাপার্সন মেহেদী হাসান মিম ও বৈশাখী টিভির ক্যামেরাপার্সন ইব্রাহিম। এছাড়াও আইনজীবীদের অনেকেই আহত হন। হট্টগোলের কারণে ভোট গ্রহণ বন্ধ রাখা হয়।

এদিকে বিএনপির দাবি পুলিশের হামলায় সুপ্রিম কোর্ট সিনিয়র জুনিয়রসহ দেড় শতাধিক আইনজীবী আহত হয়েছেন। আহতের মধ্যে রয়েছেন- ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল,  ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, মাহবুবুর রহমান খান মাহদিন চৌধুরী,কামরুল ইসলাম প্রমুখ।

এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আওয়ামী লীগপন্থি আইনজীবী একেএম আমিন উদ্দিন মানিক সাংবাদিকদের বলেন, সকালে ভোটগ্রহণ শুরু হলে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা আমাদের বাধা দেন। আপাতত ভোটগ্রহণ বন্ধ রয়েছে। তাদের দাবি নির্বাচন কমিশন ঠিক না হলে তারা ভোট হতে দেবেন না। নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন তারা। এতে ভোটগ্রহণ বন্ধ রয়েছে।

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী মো. কামরুল ইসলাম সজল  বলেন, সাধারণ আইনজীবীদের চাপের মুখে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের ভোটগ্রহণ বন্ধ রয়েছে। আমাদের দাবি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন না হওয়া পর্যন্ত এ নির্বাচন হতে পারে না।

ভোটের আগের রাত (১৪ মার্চ) বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের পক্ষ থেকে ব্যালট পেপার ছেঁড়ার ঘটনার পর থেকে কঠোর নিরাপত্তা বলয়ে রয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন যান পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া। এ সময় সঙ্গে ছিলেন এডিসি মিনহাজুল ইসলাম ও কর্মকর্তা (ওসি)।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সকালে নির্বাচনে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ডিএমপি, এপিবিএন সদস্যসহ ৫ শতাধিক (৩০ প্লাটুন) পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও তৎপর রয়েছেন।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মনসুরুল হক চৌধুরীর পদত্যাগপত্র, নতুন নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) দিনভর আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থকদের মিছিল স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে ছিল সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ। পাল্টাপাল্টি নির্বাচন পরিচালনা উপ-কমিটি ঘোষণা করে উভয়পক্ষ। এর একপর্যায়ে ভোটের ব্যালট পেপার ছেঁড়ার ঘটনা ঘটে। পরে বিএনপি ও আওয়ামী সমর্থক আইনজীবীদের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটে।


এনএনবিডি ডেস্ক :

মন্তব্য করুন