ছবি: এনএনবিডি
সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশন নির্বাচনে দ্বিতীয় দিনের মতো ভোটগ্রহণ চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গতকালের মতো আজও পাঁচ শতাধিক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বুথবার ভোট গ্রহণের প্রথম দিনে বিএনপিপন্থী ও আওয়ামী ঘরনার আইনজীবীদের মধ্যে উত্তেজনা, পুলিশের লাঠিচার্জ, সাংবাদিকদের ওপর পুলিশের হামলাসহ নানা ঘটনায় সুপ্রিম কোর্ট চত্তর ছিলো অশান্ত।
আজ শান্তিপূর্ণভাবেই ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। তবে আজ ভোটার উপস্থিতি ছিলো গতকালের চেয়ে কম।
এর আগে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা ভোটের রাতেই ব্যালট পেপার সিল মারা হয়েছে অভিযোগ এনে নতুন করে নির্বাচন কমিশন গঠন ও তফসিল ঘোষণার আহ্বান জানান ।
এর মধ্যে সরকার সমর্থক আইনজীবীরা (সাদা প্যানেল) তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে যান। কয়েকজন আইনজীবী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। কিন্তু বাধা দেন বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেলের আইনজীবীরা।
বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা ভোট কেন্দ্রে বিক্ষোভ করেন। পাল্টা মিছিল করে আওয়ামীপন্থি আইনজীবরাও। এ সময় সংবাদ সংগ্রহে যান সাংবাদিকরা। বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। ধাওয়ার এ পর্যায়ে লাঠিচার্জ করে। বেলা পৌনে ১২টার দিকে আইনজীবীসহ সাংবাদিকদেরও মারপিট করে পুলিশ।
এটিএন নিউজের সাংবাদিক জাভেদ আক্তারকে পিটিয়ে মাটিতে ফেলে দেয় পুলিশ, তাদের লাঠিচার্জে আরও আহত হয়েছেন- আজকের পত্রিকার রিপোর্টার এসএম নূর মোহাম্মদ, জাগো নিউজের রিপোর্টার ফজলুল হক মৃধা, মানবজমিনের মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার আব্দুল্লাহ আল মারুফ, এটিএন বাংলার ক্যামেরাপার্সন হুমায়ুন, সময় টিভির ক্যামেরাপার্সন সোলাইমান স্বপন, ডিবিসির ক্যামেরাপার্সন মেহেদী হাসান মিম ও বৈশাখী টিভির ক্যামেরাপার্সন ইব্রাহিম। এছাড়াও আইনজীবীদের অনেকেই আহত হন। হট্টগোলের কারণে ভোট গ্রহণ বন্ধ রাখা হয়।
বিএনপির দাবি, পুলিশের হামলায় সুপ্রিম কোর্ট সিনিয়র জুনিয়রসহ দেড় শতাধিক আইনজীবী আহত হয়েছেন। আহতের মধ্যে রয়েছেন- ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, মাহবুবুর রহমান খান মাহদিন চৌধুরী,কামরুল ইসলাম প্রমুখ।
এনএনবিডি ডেস্ক :
মন্তব্য করুন