ছবি-সংগৃহীত
প্রচলিত জনপ্রিয় ধারার একটি শব্দ ‘বাঁশ’। একে অপরকে ক্ষতি করার ক্ষেত্রে অথবা উপহাস করার ছলে ‘বাঁশ’ শব্দটি বলে থাকি। তবে জানেন কি বিভিন্ন রোগ থেকে খুব সহজেই মুক্তি দিতে বাঁশের কার্যকারিতা অপরিসীম।
বাংলাদেশের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর লোকজন বাঁশের চোঙে রাঁধেন, বাঁশও থাকে রেসিপিতে। আমাদের গ্রামেও ছোটবেলায় দেখেছি, বাঁশঝাড়ে শিশুবাঁশের মুখে হাঁড়ি বাঁধা হচ্ছে, হাঁড়ির ভেতরে বাঁশ সাপের মতো পেঁচিয়ে বড় হবে, পরে তা রেঁধে খাওয়া হবে। কাজেই বাঁশ বাঙালির খাদ্যতালিকায় চিরকালই ছিল।
দৈহিক সুস্থতায় বাঁশ খুবই উপকারী। বিভিন্ন রোগ থেকে খুব সহজেই মুক্তি দিতে বাঁশের কার্যকারিতা অপরিসীম। তাইতো চীনারা বাঁশের কোড়লকে বলেন ‘স্বাস্থ্যকর খাবারের রাজা’। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক বাঁশের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতাগুলো-
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে: কচি বাঁশে থাকে সিলকা নামের এক ধরনের যৌগ। ফলে শরীরে বাড়ে কোলাজেনের মাত্র আর কোলাজেনের মাত্রা শরীরের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে।
ওজন কমাতে: ওজন কমাতে দারুণ ভূমিকা রাখে বাঁশ। কচি বাঁশে ক্যালোরির মাত্রা অল্প পরিমাণে থাকলেও এতে ফাইবারের মাত্রা বেশি। ফলে খাদ্যতালিকায় রাখলে পেট দীর্ঘক্ষণ ভরা মনে হয়। এ জন্য ক্ষুধা কম লাগে। এতে করে শরীরের ওজন কমতে পারে।
হজমের উপকার: হজমের সমস্যা অনেক সময় খুবই বাজে অবস্থার সৃষ্টি করে। কঁচি বাঁশ হজমের জন্য ভালো। এ ছাড়াও এটি পেট ফাপা দূর করে। নানা ধরনের সংক্রমণের হাত থেকেও রক্ষা করে।
হাড় ভালো রাখতে: হাড় ভালো রাখতে কঁচি বাঁশের তুলনা নেই। বাঁশে অধিক পরিমাণে ম্যাঙ্গানিজ ও ক্যালসিয়াম থাকে। ফলে হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। এ ছাড়াও কচি বাঁশে থাকে ভিটামিন সি, এই ভিটামিন হাড়ে বিভিন্ন ধরনের খনিজ পদার্থ শোষণ করতে সাহায্য করে।
হার্ট ভালো রাখতে: হৃদরোগ ভালো রাখতে খেতে পারেন কঁচি বাঁশ। বাঁশে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইটোস্টেরল। এই উপাদান রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। ফলে শরীরে রক্ত চলাচল ভালো থাকে। হার্টও ভালো থাকে।
এনএনবিডি, ডেস্ক:
মন্তব্য করুন