জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এই বছরের জন্য বিতরণ করা পাঠ্যপুস্তকের বিভিন্ন ভূল নিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা। উঠেছে চৌর্যবৃত্তির অভিযোগও।

ইতোমধ্যেই নিজেদের সম্পাদিত ৭ম শ্রেণির বিজ্ঞানের পাঠ্যপুস্তকে চুরির বিষয়বস্তু পাওয়া  নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন মো. জাফর ইকবাল এবং অধ্যাপক হাসিনা খান। সোমবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বইটির সম্পাদনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট লেখকরাও তাদের দায়িত্ব স্বীকার করেছেন। তবে পাঠ্যপুস্তকের এসব ভূল সংশোধন করেছে এনসিটিবি।

পাঠ্যপুস্তবের তিনটিতে পাওয়া ৯ ভুল সংশোধন করেছে তারা। এনসিটিবি ১৫ জানুয়ারি এই বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে এবং তাদের ওয়েবসাইটে সংশোধন পোস্ট করেছে। ৯ম-১০ম শ্রেণির তিনটি পাঠ্যবইয়ে ভুলগুলো ধরা পড়ে।

 ‘বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা’-এ চারটি, ‘বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়’-এ তিনটি এবং ‘পৌরনীতি ও নাগরিকতা’-এ দুটি ভুল পাওয়া গেছে।

এনসিটিবি তাদের ওয়েবসাইটে বিস্তারিতভাবে সমস্ত সংশোধন প্রদান করেছে।

এ বছর থেকে নতুন পাঠ্যক্রমের অংশ হিসেবে ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির বিজ্ঞানের পাঠ্যপুস্তক 'অনুসন্ধানী পথ' হিসেবে শিক্ষার্থীদের মাঝে ছাপিয়ে বিতরণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশের দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশিত একটি নিবন্ধে, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক শিক্ষামূলক সাইট থেকে এই বইটির কিছু অংশ অনুলিপি করার অভিযোগ উঠেছে। 

বইটির সম্পাদনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট লেখকরাও বিবৃতিতে বলেছে, ‘বইয়ের এই বিশেষ অংশ এবং ওয়েবসাইটের একই লেখার তুলনা করলে আমাদের কাছে অভিযোগটি সত্য বলে মনে হচ্ছে।’