• , |
  • ঢাকা, বাংলাদেশ ।
সর্বশেষ নিউজ
* হ্যাক হওয়া আইডি উদ্ধারের নামে প্রতারণা করে কোটিপতি দুই ভাই * রাইদার চালকের নেই লাইসেন্স,বাসের নেই ফিটনেস * খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য সরকারের যে কারো সাথে আলোচনায় প্রস্তুত : অলি * চুয়াডাঙ্গা ও পাবনায় হিট স্ট্রোকে দুজনের মৃত্যু * সোনার দাম : ৪৫৬০ টাকা বাড়ানোর পর কমানো হলো ৮৪০ টাকা * তুরস্কে হামাস প্রধান হানিয়া, এরদোয়ানের সঙ্গে আলোচনা * ক্ষমতাসীনরা তীব্র মাত্রায় হিংস্র হয়ে উঠেছে : মির্জা ফখরুল * বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি * এই সরকার চোরাবালিতে দাঁড়িয়ে আছে, যেকোনো সময় ডুবে যাবে: রিজভী * মাদকের বকেয়া টাকার জন্য স্ত্রীকে ৩ ধর্ষকের হাতে তুলে দিলেন স্বামী!

একের পর এক বিস্ফোরণ, দায় কার?

news-details

ছবি : সংগৃহীত


দেশে একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটছে। হতাহতের পাশাপাশি ব্যপক সম্পদহানীর ঘটনাও ঘটছে।এসব ঘটনা কি স্বাভাবিক না কি অস্বাভাবিক সেটা যেমন নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে বের করা হচ্ছেনা তেমনি এর প্রতিরোধে কোন কার্যকর পদক্ষেপও নেয়া হচ্ছেনা। এতে মরছে মানুষ,ধ্বংস হচ্ছে সম্পদ। আর আমরা সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়তই ঝুঁকির মধ্যে পড়ছি।

এধরনের ঘটনা ঘটার পরপরই দেখা যায়ে একে অপরকে দোষারোপ করা হয়। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দোষারোপ করা যেন আমাদের রাজনীতিবিদদের অভ্যাসে পরিনত হয়েছে। এভাবে দোষারোপের কালচার অব্যাহত থাকলে ঘটনা প্রকৃত রহস্য কখনই বের হবেনা। ফলে জাতি হিসেবে আমরা ক্রমেই অনিরাপদ হয়ে যাব।

রাজধানী ঢাকার সিদ্দিকবাজরের একটি ভবনে গত মঙ্গলবার সংঘটিত বিস্ফোরণে অন্তত ১৯ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন শতাধিক। তবে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে।আজ ভোর হওয়ার পর থেকে স্বজনরা নিখোঁজদের সন্ধানে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের আশেপাশে ভিড় জমিয়েছেন। তারা আশা করছেন, বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটির বেজমেন্টে আটকে থাকতে পারে অনেকে।

ঢামেক সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত ১৬ জনের লাশ হস্তান্তর করা হ‌য়ে‌ছে। বর্তমা‌নে ঢাকা মেডিক্যালের বিভিন্ন ওয়া‌র্ডে ২০ জন চি‌কিৎসাধীন। এছাড়া বার্ন ইউ‌নি‌টে চি‌কিৎসাধীন ১১ জন।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে গুলিস্থানের সিদ্দিক প্লাজায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। 

সিদ্দিকবাজারের এই ঘটনার জন্য সরকারের দায়িত্বশীল মন্ত্রী ও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপিকে দায়ী করে বলেছেন,তারা আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে নাশকতার পথ বেছে নিয়েছে কিনা তা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বিশ্লেষক মহল বলছেন,সরকারের দায়িত্বশীল মহল থেকে এভাবে ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বললে কখনোই নিরপেক্ষ তদন্ত হয়না। বরং তদন্তকারিরা ইঙ্গিতমতই একটি রিপোর্ট তৈরিতে মনোযোগি হন।

সাম্প্রতি ঢাকার সাইন্সল্যাব এলাকায় একটি তিনতলা বাণিজ্যিক ভবনে ও চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে একটি অক্সিজেন কারখানায় বড় বিস্ফোরণে বেশ কয়েকজন হতাহতের ঘটনায় আবারও সামনে এসেছে একটি প্রশ্ন- এ ধরণের দুর্ঘটনার পেছনে দায় কাদের?

এই দুটি ঘটনার বাইরেও বিগত কয়েক বছরে বড় ধরণের বিস্ফোরণের খবর গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে।

তবে সবকটি বিস্ফোরণের ক্ষেত্রে 'জমে থাকা গ্যাসের' বিষয়টিকে দায়ী করা হচ্ছে।

এর মধ্যে কয়েকটির দুর্ঘটনার তদন্ত এখনও শেষ হয়নি। যে কটির তদন্ত প্রতিবেদন সামনে এসেছে সেখানে বিস্ফোরণের পেছনে মূলত দায়ী করা হয়েছে ভবন বা প্রতিষ্ঠানের মালিককে।

ঘটনার তদন্তে কর্তৃপক্ষের অবহেলা প্রকাশ্যে এলেও তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। বেশিরভাগ সময় দায় চাপিয়ে দেয়া হয় ভবন মালিকের উপর।

ফায়ার সার্ভিসের দাবি, জনগণের অসচেতনতার কারণেই বার বার এ ধরণের ঘটনা ঘটছে। দুর্ঘটনার আগে প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে না।

রবিবার সকালে ঢাকার সাইন্সল্যাব এলাকায় একটি তিনতলা বাণিজ্যিক ভবনে বিস্ফোরণ অন্তত তিন জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হন।

পুলিশের বোমা নিষ্ক্রিয়কারি দল ভবনটি পরিদর্শন করে জানিয়েছেন, ওই ভবনে কোন না কোনভাবে জমে থাকা গ্যাস থেকে এই বিস্ফোরণ হয়েছে। এই গ্যাস পয়ঃনিস্কাশন লাইন থেকে লিক হতে পারে বলে তারা ধারণা করছেন।

এই ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও এখন পর্যন্ত কারও বিরুদ্ধে কোন মামলা দায়ের হয়নি।

সাইন্সল্যাবের এই ঘটনা ২০২১ সালের ২৭শে জুন মগবাজারে ঘটে যাওয়া বিস্ফোরণের কথা মনে করিয়ে দেয়। সেখানেও তিন তলা ভবনের নীচতলায় জমে থাকা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছিল।

ওই ঘটনায় ভবনের নীচতলায় কোনও গ্যাস সংযোগ পাওয়া যায়নি, গ্যাস সিলিন্ডারও অক্ষত ছিল৷ সেসময় বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, তারা সেখানে মিথেন গ্যাসের গন্ধ পেয়েছেন যা পয়ঃনিষ্কাশন লাইন থেকে লিক হতে পারে।

এছাড়া ২০২০ সালের ৪ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি মসজিদে বিস্ফোরণে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

তদন্ত সংস্থা সিআইডি বিস্ফোরণের কারণ উদঘাটন করে জানায়- মসজিদের ভেতরে গ্যাস ও বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগ ছিল। গ্যাস লাইনের লিকেজ দিয়ে বের হয়ে আসা গ্যাসের ওপর বিদ্যুতের স্পার্ক পড়তেই বিস্ফোরণ ঘটেছে৷


শহীদুল ইসলাম

মন্তব্য করুন