• , |
  • ঢাকা, বাংলাদেশ ।
সর্বশেষ নিউজ
* পরিচয় গোপন করে কারাভোগ, দুইজনের কারাদণ্ড * দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি : সেনাপ্রধান * ফের বেড়েছে স্বর্ণের দাম * শেয়ারবাজারে টানা দরপতন,বিনিয়োগকারিদের মাথায় হাত * আওয়ামী দুঃশাসনের মূলোৎপাটন ঘটাতে জনগণ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ : মির্জা ফখরুল * বিএনপি নির্বাচন ও গণতন্ত্রবিরোধী অবস্থান নিয়েছে: কাদের * বাংলাদেশে বিক্রি করা নেসলের শিশুখাদ্য নিয়ে ভয়ংকর তথ্য * উপজেলা নির্বাচনে কে কার আত্মীয় তা দেখবে না নির্বাচন কমিশন: ইসি আলমগীর * আমার স্ত্রীর কিছু হলে সাবেক সেনাপ্রধানকে আমি ছাড়বনা : ইমরান খান * আইপিএলে ডাক পেয়েও যেতে পারেননি শরিফুল

ইসলাম যুগ যুগ ধরে শান্তি, সহানুভূতি ও মাধুর্যের বাণী ছড়িয়েছে: জাতিসংঘ মহাসচিব

news-details

ছবি: সংগৃহীত


মুসলিমবিদ্বেষ দূরীকরণে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেছেন, জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ইসলামভীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা মুসলিমবিদ্বেষ দূরীকরণে মনোযোগ আকর্ষণের ও পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।  

বুধবার (১৫ মার্চ) ইসলামভীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বার্তায় তিনি এই আহ্বান জানান।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, বিশ্বের প্রায় ২০০ কোটি মুসলমান মানবজাতির অসাধারণ বৈচিত্র্যেরই প্রতিনিধিত্ব করছে।

কিন্তু শুত্র বিশ্বাসের কারণে তারা প্রায়ই ধর্মান্ধতা ও কুসংস্কারের শিকার হয়। কাঠামোগত ও প্রাতিষ্ঠানিক বৈষম্য এবং নির্বিচারে মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি নেতিবাচক ধারণার শিকার হওয়া ছাড়াও মুসলমানেরা ব্যক্তিগত আক্রমণ ও বিদ্বেষপ্রসূত প্ররোচনার শিকার হয়।

তিনি বলেন, মুসলমান নারীদের ক্ষেত্রে তাদের জেন্ডার পরিচয়, জাতিগত পরিচয় ও ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে আমরা ত্রিমাত্রিক বৈষম্যের সবচেয়ে নেতিবাচক প্রভাব প্রত্যক্ষ করি। মুসলমানদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান এই বিদ্বেষ কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটি গোড়া জাতীয়তাবাদ ও নব্য নাৎসি শ্রেষ্ঠত্ববাদের আদর্শের পুনরুত্থান এবং মুসলমান, ইহুদি, কিছু সংখ্যালঘিষ্ঠ খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায় ও অন্যদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান সহিংসতার ফল।

জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস বলেন, বৈষম্য আমাদের সবাইকেই ক্ষতিগ্রস্ত করে। বৈষম্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর দায়িত্ব আমাদের সবার ওপরই বর্তায়। মানবাধিকার পুরোপুরি সমুন্নত রাখে এবং ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক পরিচয়ের সুরক্ষা দেয়, এমন নীতি প্রণয়নের মাধ্যমে আমাদের অবশ্যই নিজেদের প্রতিরক্ষা জোরদার করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের অবশ্যই বৈচিত্র্যকে সমৃদ্ধি হিসেবে স্বীকার করে নিতে হবে এবং সামাজিক সংহতির জন্য রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক বিনিয়োগ জোরদার করতে হবে। ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অংশ হিসেবে আমাদের অবশ্যই বিদ্বেষ মোকাবিলায় কাজ করতে হবে, যা ইন্টারনেটে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে।

‘সহস্রাব্দের বেশি সময় ধরে ইসলাম শান্তি, সহানুভূতি আর মাধুর্যের বাণী ছড়িয়ে দিয়ে বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছে’ উল্লেখ করে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, প্রতিটা মহান ধর্ম ও প্রথাই সহনশীলতা, শ্রদ্ধাবোধ ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছে।

হৃদয়ে যে সার্বজনীন মূল্যবোধ নিয়ে আমরা কাজ করছি, তা জাতিসংঘ সনদেরই স্বরূপ এবং ন্যায়বিচার, মানবাধিকার ও শান্তির জন্য আমাদের লড়াইয়ের মূলমন্ত্র।

আজ এবং প্রতিটা দিন, আসুন আমরা একক মানবসমাজ হিসেবে এসব মূল্যবোধ অনুধাবন করি এবং বিভক্তি সৃষ্টিকারী শক্তিকে প্রতিহত করার চেষ্টা করি।


এনএনবিডি ডেস্ক :

মন্তব্য করুন